স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ মার্চ : পূর্বতন সরকার যারা চালিয়ে গেছেন তারা আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। শিক্ষার জন্য কি সংস্কার করেছেন তা বিবেচনা করুন। শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড বলে প্রচার করা হলেও সংস্কারের কোন সদিচ্ছা ছিল না। মানুষ ভাত খাওয়ার জন্য বড় হয় না। বেঁচে থাকার জন্য ভাত খায় মানুষ। এই ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থা একটা রাজ্য ও রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি। বৃহস্পতিবার নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মানব সম্পদের উন্নয়নে বিগত ৩০ বছর রাজ্যে কোন সংস্কার করা হয়নি। বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে এন সি ই আর টি-র সিলেবাস চালু করেছে। এই সরকার প্রবাহমান নদী। আর এই প্রবাহমান নদীতেই মানুষ পুণ্যের জন্য আসে। স্থীর জলে আসে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাই শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রবাহ মান করা হয়েছে। গেরুয়াকরনের পথে হাঁটেনি সরকার। জাতীয় সিলেবাস এনে সংস্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ টি স্কুল সি বি এস সি করবে সরকার। এর জন্য ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। অথচ বিরোধীরা প্রচার চালাচ্ছে শিক্ষার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে বলে। সি বি এস সি সিলেবাস আগে রাজ্যের কোন সরকারী স্কুলে ছিল না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এখন গরীবরাও চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে তারা সি বি এস সি স্কুলে পড়বে। এটা ত্রিপুরার আমূল পরিবর্তনকে সাধিত করে। করোনার কারনে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর পরেও অন লাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার। কিন্তু পূর্বতন সরকার থাকলে অন লাইনে ক্লাশ করাত না। কারন এরা চুরির চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা বিধায়ক ডাঃ দিলীপ দাস, স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। এদিনের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলের তৃতীয় থেকে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন সাজ পোষাকে সুসজ্জিত হয়ে এই মিছিলে অংশ নেন। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মিছিলটি।