স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ফেব্রুয়ারি : কংগ্রেসের প্রতিরোধের পর আবারো পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলল শাসক দল বিজেপি। প্রতিবাদী মিছিলে নাম করে শহরে আবারো উত্তেজনা সৃষ্টি করলো খুদ শাসক দলের নেতৃবৃন্দ। মিছিল করে এসে কংগ্রেস ভবন হামলা করল শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে বনমালীপুর মন্ডল অফিসের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় প্রদেশ বিজেপি। এদিন বনমালীপুর বিজেপি কার্যালয় পরিদর্শন করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, মানুষকে ব্যবহার করে কমিউনিস্টদের দীর্ঘ সময় রাজ্যে রেখেছে। মানুষ খুন হয়েছে। আজকে এই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা বিগত দিনের সিপিআইএম করত। আজকে সিপিআইএম কংগ্রেসকে এধরনের ঘটনা করতে মদত দিচ্ছে। কংগ্রেস সিপিআইএম একে অপরের পরিপূরক। সিপিআইএম নিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলে কংগ্রেসকে শিখণ্ডী করে অক্সিজেন নিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে দেশের অন্যান্য রাজ্য তারা এক হয়ে লড়াই করছে। তাই সিপিআইএমকে দূষণ বলে আখ্যায়িত করলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। শনিবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা লাঠি নিয়ে যেভাবে বিজেপি মন্ডল অফিসের উপর আক্রমণ করেছে তার তীব্র নিন্দা জনক বলে জানান তিনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানান এটা তীব্র নিন্দা জনক ঘটনা। শান্তি পরিবেশ অশান্ত করতে চাইছে কংগ্রেস। বাঁকা পথে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। কিন্তু সফল হবে না। কংগ্রেসে দুষ্কৃতী ছিল বলেই তারা রাজ্য পরিবর্তন করতে পারে নি বলে জানান তিনি। পরে এদিন মিছিলটি আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।শান্তি পরিবেশের কথা বলে এদিন শহরে শাসক দলের দ্বারা এ ধরনের কান্ড কারখানা গড়ে উঠায় নাক-কান কাটা গেল শাসকদলের। এদিন মিছিলটি বনমালীপুর মন্ডল থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকায় এসে কংগ্রেস ভবনের উপর ইট-পাটকেল দিয়ে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের তেমন সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় শাসক দলের দুর্বৃত্তরা এ দিন কংগ্রেস ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা পর্যন্ত ঘটিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ান মোতায়েন থাকলেও কারো কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। আতঙ্কে শহরের পথঘাট খালি হয়ে যায়। শাসকদলের চোখ-রাঙানিতে কাবু হয়ে পড়ে শহরবাসী। শহরের পরিস্থিতি থমথমে।