Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং -এর মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মঙ্গলবার

ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং -এর মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মঙ্গলবার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ এপ্রিল : ভারত বর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ, সংবিধান মোতাবেক চলবে। এদেশে জনগণের কোন বিষয় কোন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস চালাতে পারে না। কিন্তু যা গত ১০ বছর দেশে হয়ে আসছে। আর এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির রাম রাজ্য এবং হিন্দু রাষ্ট্র। তাই তারা আসন্ন নির্বাচনে কখনো মানুষের ভোটে জয়ী হতে পারবে না। আর যদি আসে তাহলে এটাই হবে ভারতবর্ষের শেষ নির্বাচন।

 তারপর থেকে সব বাছাই হবে মন্ডল অফিস থেকে। মঙ্গলবার পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং -এর মনোনয়ন পত্র দাখিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা তথা ইলেকশন ক্যাম্পেইন কমিটির কনভেনার জিতেন্দ্র চৌধুরী। আমবাসায় আয়োজিত এদিনের সভা শুরু হওয়ার আগে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলের পর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং। তিনি রিটার্নিং অফিসারের হাতে মনোনয়ন পত্রটি তুলে দেন। জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি যদি রাজ্যের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেউ ক্ষতি করে থাকে তাহলে সেটা হল প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ করছেন।

 তিনি জনজাতি অংশের মানুষের ভাবাবেগকে ব্যবহার করেছেন। এ রাজ্যে বিজেপির যারা সহযোগী হয়েছে তারা হলো তিপরা মথা। তারা বলতেন গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কোনরকম আপোষ চলবে না। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দাবি নিয়ে লাস্ট ফাইট বলে স্লোগান তুলে আবেগ ভাসিয়ে দিলো নেতৃত্ব। পরবর্তী সময়ে বিজেপি -কে সহযোগিতা করে জয়ের পর সুগম করে দেয়। না হলে বিজেপি -র জন্য জয় হাসিল করা সম্ভব হতো না। এবং বিধায়কের সংখ্যা দুই অঙ্কের পৌছাতো না। এই সুযোগ করে দিয়েছে মথা। তাই প্রমাণিত, দোস্তি পেহেলে সে থা, আভি নেহি। জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনে আইন কার্যকর নিয়ে বিপ্লব কুমার দেবে বিরুদ্ধে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ আওয়াজ তুলেছিলেন এ রাজ্যে বিপ্লব কুমার দেবকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বিপ্লব কুমার দেবকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গেছে গত কয়েকদিন আগে নির্বাচনী এক জনসমাবেশে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ দাবি করেন বিপ্লব কুমার দেব নাকি উনার পরম মিত্র। পরম মিত্র আগে থেকেই ছিল এবং আগামী দিনে থাকবে বিপ্লব কুমার দেব এবং প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের। তিনি আরো বলেন, মহারাজাদের আমলে জন বিরোধী নীতি ও জনজাতি বিরোধী নীতির কারণে ককবরক ভাষার মূল্য ছিল না। তাই তাদের এ ধরনের নীতির সম্মান করা হয় না বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, পরাজয়ের আতঙ্কে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। গত ছয় বছরে ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি-র দ্বারা সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে দেশে গণতন্ত্রকে যেভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে, সেভাবেই ত্রিপুরা রাজ্যের গণতন্ত্র তারা ছিন্নভিন্ন করেছে। আর রাম রাজ্যের কথা বলছে। কিন্তু ভগবান রাম অনেক বেশি মহান। মহান রামের সাথে বর্তমান রামের কোন তুলনা হয় না। শাসক দলের লক্ষ্য হলো হিন্দু রাষ্ট্রে তৈরি করে ফ্যাসিস্ট সুলভ পরিস্থিতি তৈরি করার। বিশেষ করে এই রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে দেয় না।

 নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল নির্বাচন সংঘটিত করে না। এর উদাহরণস্বরূপ বলেন ভিলেজ কমিটির নির্বাচন। সাড়ে তিন বছর ধরে এ নির্বাচন হয় না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইদানিং অফিসারের অফিস দখল করে মনোনয়ন পত্র বিক্রি না করে তারা নির্বাচিত ঘোষণা হয়। এবং ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে প্রধান, চেয়ারম্যান, মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়। যতগুলি স্বাধীন সংস্থা আছে সবগুলি ঠুঁটো জগন্নাথ। এইগুলি ঠিক করছে মন্ডল। আর সেই মন্ডলের নেতাদের নিয়োজিত করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনিও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার দ্বারা। তাই সামনে মস্ত বড় সুযোগ রয়েছে এই সরকারকে দেশ থেকে উৎপাত করার। সকলে যাতে ইন্ডিয়ার জোটকে সমর্থন করে তার জন্য আহ্বান জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত নির্বাচনের সমাবেশে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং, ইলেকশন ক্যাম্পেইন কমিটির কনভেনার সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য