স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মার্চ : প্রতিমা দেবীর দোষ কোথায়? তিনি তো কর্মীদের পাশে থাকতে ভালোবাসতেন! কর্মীদের কোন কিছু হলে তিনি ঝাপিয়ে পড়তেন! এটাই কি উনার দোষ হয়েছে? যার কারণে প্রতিমা দেবী প্রার্থী হতে পারেন নি? এর কারণটা নির্বাচনের তিনদিন আগে জনসম্মুখে বলা হবে! এভাবেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রার্থী হতে না পারার বিষয়ে রহস্য উস্কে দিলেন ইলেকশন ক্যাম্পেইন কমিটির কনভেনার সুদীপ রায় বর্মন।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সংবিধান রক্ষার্থে এক নং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা সমর্থনে জিবি বাজারে আয়োজিত জনসভায় তিনি আরো বলেন, আমরা সকলে গর্বিত ছিলাম প্রতিমা দেবীকে নিয়ে। কারণ প্রথম ত্রিপুরা রাজ্য থেকে কেউ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে বহিরাগতারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিমা দেবীর সাথে এমনটা হলো কেন সেটা তিন দিন আগে বলা হবে বলে জানান। সুদীপ রায় বর্মন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের প্রসঙ্গে বলেন, যে গত কয়েক বছর আগে ত্রিপুরা থেকে লুটেপুটে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্তু করেছিলেন তাকেই পশ্চিম আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে বিপ্লব কুমার দেবকে আবারও পশ্চিম ত্রিপুরা আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে?
বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়লেন তিনি। এদিন কীর্তি সিং দেববর্মার প্রার্থী পদ নিয়েও তিনি সমালোচনার ঝড় তুলেন। বিজেপির মধ্যে কোন মহিলা কিংবা জনজাতির মধ্যে কি কেউ ছিল না প্রার্থী হওয়ার জন্য? কৃতি সিং দেববর্মাকে প্রার্থী করার জন্য রাজ্যে আনতে হলো? শ্রী বর্মন আরো বলেন বর্তমান সরকারের আমলে নেশায় ডুবে আছে ছাত্র যুব সমাজ। আনাচে, কানাচে, অলিতে, গলিতে নেশায় আকৃষ্ট যুব সমাজ। কিন্তু এ সরকারের স্লোগান ছিল নেশা মুক্ত ত্রিপুরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গত ছয় বছরে নেশায় ডুবে গেছে ত্রিপুরা। রাজ্যের প্রধান রেফারেল জিবি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সরকারকে এদিন কাঠ গড়ায় তুললেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে না। প্রতিদিন ইন্টার্ন ও পি জি দিয়ে চলছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল এ রাজ্য এইমস্ ও অ্যাপলো স্থাপন করা হবে। এগুলি কোথায়, প্রশ্ন সুদীপ রায় বর্মনের। রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে বিস্ফোরক সুদীপ বলেন, রাজ্যের স্কুল, কলেজে শিক্ষক নেই। আর রাজ্যে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা নেট, স্লেট শেষ করে বেকার বসে আছে। আর রাজ্যের এসেম্বলিতে সকাল থেকে চলছে থাম্বা। কে কাকে ঠকিয়ে কত তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত এই দিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের সময় প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন সংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।