স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মার্চ : সামনে নির্বাচন! এরই মধ্যে চৈত্র মেলায় দোকান ভিটি বন্টনে ব্যাপক অনিয়ম। পয়সার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই শতাধিকের অধিক ভিটির টিকিট বলে অভিযোগ। আর ভোর তিনটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত পরিশ্রমের জলাঞ্জলি দিলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদে দুপুরের নাগাদ আগরতলা পুর নিগমে বিক্ষোভ দেখায় ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, গত ২৬ মার্চ ভিটি বন্টনের টিকিট বিলি করা হয়। তারা এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তাদের নিগম থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আর কোন টিকিট দেওয়া হবে না।
পরবর্তী সময়ে পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আবার কবে নাগাদ থেকে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত ১২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে বাড়ি ফিরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারপর বুধবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ খবরের কাগজে ভিটি বন্টনের জন্য ফর্ম বিতরণ করার জন্য দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয় ২৮ মার্চ। তারপর যথারীতি বৃহস্পতিবার ভোর তিনটা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা। সকাল নয়টা থেকে যখন ফর্ম বিল করা শুরু হয় তখন দেখা যায় ৬৭৯ টি ফর্মের মধ্যে ১৮০ টি ফর্ম শেষ হওয়ার পর সরাসরি চলে গেছে ৪০০ নম্বরে। সাথে সাথে শুরু হয় হুলস্থলি। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রায় ২০০ টি টিকিট বিক্রি করার ফলে তারা টিকিট পায়নি। তাদের আরো অভিযোগ, ফর্ম জমার আগেই তারা অনেকের কাছে কূপন দেখেছে। সুতরাং চুরি করে এই কুপনগুলি বিক্রি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাই প্রায় আড়াই শতাধিক ব্যবসায়ী বঞ্চিত হয় এই দিন বিক্ষোভের শামিল হয়েছে। কিন্তু নিগম কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কোনভাবেই দেখা করছে না।
নিগমের নিচু স্তরের কর্মীরা জানিয়ে দেন আধিকারিকরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছেন। সুতরাং তাদের সাথে দেখা করার কোন অধিকারই নেই বলে জানিয়ে দেন ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছরে চৈত্র মেলার জন্য চাতক পাখির মতো থাকে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাদের সাথে এ ধরনের বঞ্চনা সাধারণত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। কারণ তারা সকলেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সারা বছরে ঋণ পরিশোধ করার জন্য বছরে এই কয়েকটা রৌদ্রে বৃষ্টি ভিজে এই দিনের আশা করে। সূত্রে খবর, মন্ডল নেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাঁকা পথে কিছু ফর্ম দিলে হয়েছে। যে ফর্ম গুলি মাধ্যমে এলাকার দলীয় কর্মীদের মধ্যে বন্টন করা হবে। যাই হোক এ বিষয়ে ষ্পষ্ট জানিয়েছে বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন যদি প্রতিবছরের মতো শকুন্তলা রোডে এবার চৈত্র মেলায় বসতে বঞ্চিত হয় তাহলে কাউকেই ব্যবসা করতে দেবে না। কারণ এবছর নতুন নিয়ম করে তারা ফর্ম বিলি করছে। দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতায় তারা এ ধরনের নিয়ম দেখে নিন।