Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবিএসএফ'র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক, আহত এক বিএসএফ জওয়ান, আটক এক বাংলাদেশি

বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক, আহত এক বিএসএফ জওয়ান, আটক এক বাংলাদেশি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ মার্চ : বিএসএফ -এর গুলিতে মৃত্যু হলো এক বাংলাদেশের পাচারকারীর, পাচারকারীর আক্রমণে আহত এক বিএসএফ -ও। এই ঘটনায় শোরগোল  কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অন্তর্গত মাগুরুলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও এখনও পাওয়া যায়নি মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয়। রবিবার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানা যায়।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। চিকিৎসক জানান বিএসএফ জওয়ানরা একটি মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। যথারীতি তিনি পুলিশকে খবর দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দুপুর একটা নাগাদ গৌরনগর ব্লকের অন্তর্গত মাগুরুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪৭ নম্বর গেইটের সামনে দিয়ে বাংলাদেশের পাচারকারীরা চিনি ও বিড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী পাচার করছিল। সেই সময় ১৯৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের মাগুরুলি বিওপির জওয়ানরা বাঁধা দেয়। বিএসএফ সংখ্যায় কম থাকায় পাচারকারী কুড়ি পঁচিশ জন যুবক বিএসএফের দিকে এগিয়ে আসে। বিএসএফের জওয়ানরা ৪৭ নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। পাচারকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেও তারা পিছপা হয় নি। তখন বাধ্য হয়ে বিএসএফের এক জওয়ান পাচারকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি করে। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের এক পাচারকারী মারা যায়।

 যে সমস্ত জোয়ানদের দুপুর বারোটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল তারা দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল তখন। হঠাৎ করে গুলির শব্দ শুনে তারা লাঠি হাতে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। লাঠি নিয়ে পাচারকারীদের তাড়া করার পর বিএসএফ জওয়ানরা এক পাচারকারীকে ধরতে সক্ষম হয় বলে সূত্রে খবর। বর্তমানে এক বাংলাদেশী পাচারকারী মাগুরুলি বিওপিতে রয়েছে। জানা গেছে বাংলাদেশী পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় কনস্টেবল মোহন লালের জুতার ফিতা খুলে যায়। তখন বাংলাদেশী পাচারকারীরা কনস্টেবল মোহন লালকে ধরে ফেলে। তারা কনস্টেবল মোহন লালকে বেধড়কভাবে মারধর করে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

 তাকে কৈলাসহরের আর.জি.এম হাসপাতালে নিয়ে আসলে আর.জি.এম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগে। মোহন বাবুর প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় তাকে সেলাই দেওয়ার পর হাসপাতালে এডমিট করা হয়। মোহন লাল দুপুর বারটা পর্যন্ত কর্তব্য করে বিশ্রাম নিচ্ছিল। গুলির শব্দ শুনে হঠাৎ করে সেখানে ছুটে যায়। এ ধরনের কাজের জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। জানা গেছে মোহন লালের বাড়ি রাজস্থান। এদিকে জানা গেছে বিএসএফ যে পাচারকারীকে গুলি করে হত্যা করেছিল বর্তমানে তার মৃতদেহ জেলা হাসপাতালে রয়েছে। এই ঘটনায় বর্তমানে মাগুরুলি এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। বর্তমানে পুরো এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে বিএসএফ জওয়ানরা। পাচার বাণিজ্য রুখে দিতে বিএসএফ সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহলদারী বাড়িয়ে দিলেও কৈলাসহর শহর উত্তরাঞ্চল এলাকায় পাচার বাণিজ্য রুখে দিতে এক প্রকার হিমসিম খাচ্ছে বিএসএফ ও পুলিশ প্রশাসন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য