Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যমাছের ঘাটতি মেটাতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার : সুধাংশু

মাছের ঘাটতি মেটাতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার : সুধাংশু

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ মার্চ : রাজ্যে প্রতি বছর এক লক্ষ ১৫ হাজার মেট্রিক টন মাছের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৮৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। বাকি মাছের চাহিদা বহির্রাজ্য থেকে মেটানো হয়। তাই এই ঘাটতি পূরণ করতে রাজ্য সরকার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটা হল ইন্ট্রিগেটেড একুয়া পার্ক নির্মাণ করার। এই ইন্টিগেটেড একুয়া পার্ক -এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৯৯.৯৯ কোটি টাকার প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার এর উপর একটি পর্যালোচনা করে ৪২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা প্রথম পর্যায়ে দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে কৈলাশহর মহকুমার সাতেরো মিয়াঁ হাওরে কাজ শুরু করা হবে।

 এর সুফল পাবে রাজ্যবাসী। শুক্রবার সচিবালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। মন্ত্রী বলেন, এই একুয়া পার্কের মধ্যে একাধিক ভাগ রয়েছে। একটি স্থানে মাছের পোনা উৎপন্ন করা হবে, অপর একটি স্থানে মাছের রেনু উৎপন্ন করা হবে। সেখানে পাবদা মাছ, দেশি কই, চিংড়ি মাছ সহ বিভিন্ন মাছের উৎপাদন করা হবে। যে জলাশয়টি উৎপন্ন করা হবে সেখানে একটি রেস্টুরেন্টেরও ব্যবস্থা থাকবে। রেস্টুরেন্টে হবে জলাশয়ের মাঝখানে। পর্যটকরা বোর্ড দিয়ে এই রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে পারবে। সেখানে সুস্বাদু ফ্রাই মাছ খাওয়ার মত ব্যবস্থাও থাকবে। এই একুয়া পার্ক পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের জন্য আবাসন থাকবে। এর পাশাপাশি সেখানে একটি ল্যাব থাকবে। মাছের মধ্যে কোন জীবাণু আক্রমণ করেছে কিনা সে বিষয়টা খতিয়ে রাখার জন্য। তিনি আরো জানান, যাদের কাছ থেকে জমি সংগ্রহ করা হবে তাদেরও সেখানে স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ করা হবে। এটা মৎস্য দপ্তরের একটি বড় উন্নয়নমূলক কাজ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর নাম হলো মৎস্য ই- রিক্সা ইলেকট্রিক ভেহিকেল। এতে বেকার ছেলেরা জ্যান্ত মাছ নিয়ে অলিগলিতে ঘুরে বিক্রি করবে। মোবাইল ইকো ফ্রেন্ডলি কিয়স করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা হল যেখানে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে সেখানেই মাছ জল থেকে চলে ফ্রাই করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এবং এটি গাড়ির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কৈলাশহর ধর্মনগর উদয়পুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এদিক চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আটটি জেলায় আটটি রেস্টুরেন্ট খোলা হবে। সেখানে শুধু মাছের জীবন্ত মাছ পাওয়া যাবে। সেখানে মাছ ফ্লাই করে পাওয়া যাবে, আবার মাছ সাধারণ ভাবে বিক্রি করা হবে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যাবে। এই তিনটি প্রজেক্টের জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৩৪০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৩০৬ লক্ষ টাকা কেন্দ্র সরকার প্রদান করবে। বাকি ৩৪ লক্ষ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে এই প্রকল্প গুলি রাজ্যে চালু হবে। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য মন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের আধিকারিকেরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য