স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেস ছাড়লেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার শিষ্য সম্রাট রায়। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা ভারতীয় জনতা পার্টির ছেড়ে দলে আবার ফেরার পর থেকেই কংগ্রেসে আবারো গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়। দিল্লির হাই কমান্ড যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে বীরজিৎ সিনহাকে সরিয়ে সভাপতি করেছেন আশিষ কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেন তখন থেকেই দলীয় কাজকর্ম থেকে পুরোপুরিভাবে হাত গুটিয়ে নেন বীরজিৎ সিনহা। দলের উপর অভিমান করে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে আসা পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন বীরজিৎ সিনহা এবং তাঁর শিষ্য সম্রাট রায়। পরে একটা সময় সম্রাট রায়কে এন এস ইউ আই-র সভাপতির পদ থেকে ছাটাই করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বসে থাকার পর শনিবার সম্রাট রায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে এসে ঘোষণা করলেন কংগ্রেস দলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১৬ সালে বর্তমান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং ভি.কি প্রসাদ কংগ্রেস থেকে চলে যাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা কর্মী-সমর্থকরা দায়িত্ব পালন করেছে। ধর্মনগর -সাব্রুম পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সমস্যা সমাধান করেছেন। কিন্তু এখন দলের মধ্যে চলছে শুধু রাজনীতি। দিল্লি থেকে কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যে আসছে অর্থ কামাই করার জন্য। যার ফলে প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীদের মূল্যায়ন হয়নি দলে। বর্মন গ্রুপ আজ রাজ্যে কংগ্রেস পরিচালনা করছে। তারাই একসময় বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী মুদর্বাদ। তাই দলের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে হুঁশিয়ার দিলেন বর্মন গ্রুপকে সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন আগামী দিনে যা হবে ভালোই হবে। তবে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা শাসক-শিবিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলাতে পারে গুরু, শিষ্য। এমনকি শিষ্যকে প্রথমে পদ্ম শিবিরে পাঠিয়ে নিজের ওজন পরীক্ষা করতে পারেন বীরজিৎ। হয়তো এর জন্য গুরু শিষ্যের এই কৌশল।