স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ ফেব্রুয়ারি : জীবন সংগ্রামে হার মেনে সরকারি সহযোগিতার দাবি করছে বাবা-মা ছেলে। তার মধ্যে বাবা অসুস্থ। ছেলেও কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কোমর ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে নুন আনতে পান্থা ফুরায় পরিবারটির। পাড়া প্রতিবেশীরা সাহায্য করলে দুই বেলা দুই মুঠো অন্ন কপালে জুটে। এক প্রকার অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে রাজধানী লাগোয়া নন্দন নগর সরকার পাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ সরকারের পরিবার। অসহায় পরিবারটি সরকারি ভাবে সাহায্যের দাবি জানায়।
জানা যায়, স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কৃষ্ণ সরকারের চার জনের সংসার ছিল। দিন মজুরের কাজ করে কোন ক্রমে সংসার চলতো। পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়ের বিয়ে দেন। মেয়ের বিয়ের পর তাদের তিন জনের সংসার কোনক্রমে চলছিল। এরই মধ্যে সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। কৃষ্ণ সরকার আচমকা অসুস্থ হয়ে যান। প্যারালাইসিসে কৃষ্ণ সরকারের একটি হাত ও একটি পা অকেজো হয়ে যায়। ফলে তিনি কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তারপর কৃষ্ণ সরকারের ছেলে পঙ্কজ সরকার সংসারের হাল ধরে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে পঙ্কজ দিন মজুরের কাজ শুরু করে। তিন মাস পূর্বে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্কজ। পঙ্কজের কোমর ভেঙ্গে যায়। ফলে সেও কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সরকারি ভাবে যতটুকু সম্ভব হয়েছে বাবা ও ছেলের চিকিৎসা হয়েছে। বর্তমানে অসুস্থ বাবা ও ছেলে কর্মক্ষমতা হারিয়ে বাড়িতে রয়েছে। এখন আর সংসারের হাল ধরার মতো কেউই নেই।
উপার্জন করার মতো কেউই নেই। ফলে করুন অবস্থা পরিবারটির। বর্তমানে প্রতিদিন দুই বেলা দুই মুঠো অন্ন তাদের কপালে জুটে না। পাড়া প্রতিবেশীরা সাহায্য করে যাচ্ছে। পাড়া প্রতিবেশীরা সাহায্য করলে তবেই তাদের কপালে দুই বেলা দুই মুঠো অন্ন জুটে। অসুস্থ কৃষ্ণ সরকারের স্ত্রী কানন সরকার কান্না করতে করতে জানান দুপুরে কিংবা রাতে কি খাবেন তাও জানেন না। ঘরে কিছুই নেই। পাড়া প্রতিবেশীরা কিছু সাহায্য করলে তবেই দুপুরে ও রাতে খাবার জুটবে। কৃষ্ণ সরকার সামাজিক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভাতাও পান নি। বিপিএল কার্ড রয়েছে। তিনি সরকারের নিকট আর্জি জানান তারা যেন দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পাড়ে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। টিনের বেড়া টিনের ছাউনি, সেই ঘরে বাবা-মা ও ছেলের বসবাস। চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবারটি। সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো পরিবারটি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবে। অন্যথায় আগামিদিনে পরিবারটিকে না খেয়ে মরতে হবে। কারন পাড়া প্রতিবেশীরা কত দিন সাহায্য করবে। এখন দেখার রাজ্যের বর্তমান সরকার পরিবারটির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কিনা।