স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ ফেব্রুয়ারি : বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত বর্ষ। এ দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত, কলঙ্কিত এবং ধর্ষিত। এদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার পাচ্ছে না। বিজেপি সরকার যাই বলবে সেটাই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে অবতার বলে তীব্র সমালোচনা করে এই কথা বলেন প্রাক্তন সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য।
তিনি রাজধানীর ড্রপগেট এলাকায় সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির ডুকলি মহকুমা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় এই কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি ভাবেন মহিলাদের একগুচ্ছ বিল পাস করে তিনি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হবে তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন, ইন্দিরা গান্ধীও জরুরী অবস্থা চালু করে বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দেশবাসী ক্ষমতাচ্যুত করেছে কংগ্রেসকে। তিনি আরো বলেন, সারা দেশের মতো রাজ্যের মহিলারা নির্যাতনের শিকার। এবং এইগুলি সব কিছুই দেখে সরকার চুপ। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্যে একটাই প্রশ্ন কেন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে না? বামেরা তো মুখ্যমন্ত্রী কাছে প্রস্তাব রেখেছিল সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য দাবি করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন এই ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করবে, সুশাসন দেবে এবং গুন্ডামি বন্ধ করবে। কিন্তু কিছুই তো বন্ধ হয়নি। এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে বলে জানান তিনি। আয়োজিত পথসভায় এদিন দাবি তোলা হয়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী ছাটাই বন্ধ করা, রেগার কাজের মজুরি বৃদ্ধি করা, খাদ্য সংকট নিরসনের জন্য জনজাতি এলাকায় ডাবল রেশন প্রদান করা ইত্যাদি। আয়োজিত সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা স্বপ্ন দত্ত, ডুকলি মহাকুমা কমিটির সম্পাদিকা আরতি নন্দী সহ অন্যান্যরা।