স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ ফেব্রুয়ারি : ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! মাত্র পাঁচ দিন আগে সাত পাকে বাঁধা হয়ে নতুন জীবন শুরু হয়েছিল দেবাদ্রিতা এবং তার স্বামী আদিত্যের। কিন্তু কেইবা জানতো নতুন দম্পতি জীবন শুরুর মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় তাদের জীবনে নেমে আসবে অমাবস্যা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তাদের দম্পতি জীবন।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ভাগ্যের কাছে হেরে গেল দুজনে। রয়ে গেল আদিত্য। ফুলের মালার সাজে সিঁথিতে সিঁদুরে চির শর্য্যায় আজ দেবাদ্রিতা। সবকিছুই ঠিক ছিল তাদের জীবনে, ভালো লেগেছিল দুজন দুজনের। রবিবার মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে সুদূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলেন দুজনে। জনম জনম এভাবেই জীবনসঙ্গী হবে। কিন্তু কেউ জানতো না রবিবারই তাদের দম্পতি জীবনের শেষ দিন! বাগমা এলাকায় দুর্ঘটনায় দুজনেই হেরে গেল তাদের ভালোবাসার কাছে। সোমবার দেবাদ্রিতা চৌধুরীকে জিবি হাসপাতালে মরে গিয়ে ময়না তদন্তের পর নিয়ে আসা হয় রামনগর এক নম্বর রোড স্থিত আবাসনে। বাকরুদ্ধ তার পরিবার। যারা গত পাঁচ দিন আগে তাদের বিয়ের অভিনন্দন জানাতে এসেছিল তারা এই দিন এসেছে দেবাদ্রিতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
দুচোখে অশ্রুত ধরে রাখতে পারে নি কেউ। শেষ বিদায় জানিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে সকলে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির থেকে মায়ের দর্শন করে গৃহবধূ দেবাদ্রিতা চৌধুরী ও তার স্বামী রবিবার দুপুরে আগরতলা ফিরছিলেন। কিন্তু বাগমা আসার পর তাদের গাড়ির সাথে অন্য অপর একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় নব গৃহবধূ ও তার স্বামী আটকে পড়ে গাড়িতে। স্থানীয়রা ছুটে এসে তড়িঘড়ি গাড়ির দরজা ভেঙে তাদের বের করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৃহবধূর স্বামী আদিত্য সাহারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।