স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ ফেব্রুয়ারি : পুলিশের গাফিলতি কারণে মৃতদেহ ময়না তদন্ত না করেই শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করল গ্রামবাসী। ঘটনা চাকমাঘাট স্থিত রঙ্গিয়াটিলা এলাকায়। জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ধরে বৃদ্ধের মৃতদেহ হাসপাতালের ইমারজেন্সির সামনে পড়ে থাকলেও আসে নি পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চাকমাঘাট স্থিত রঙ্গিয়াটিলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ রবিরায় দেববর্মার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃতদেহ পরিবার-পরিজনরা শনিবার বিকাল চারটা নাগাদ নিয়ে আসে মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিরায় দেববর্মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশকে। বিকাল চারটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দেখা নেই পুলিশের বলে বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে মৃতের পরিবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে। পরে ছুটে আসে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ ও টি.এস.আর। এদিকে মৃতদেহ মর্গে রাখার লোক ছিল না মহকুমা হাসপাতালে। অন্যদিকে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের এহেন ভূমিকার ফলে পরিবার পরিজনদের ইচ্ছে থাকলেও হয়নি মৃত দেহের ময়না তদন্ত। পরে পুলিশের সামনেই মৃতদেহ ইমারজেন্সির সামনে থেকে ট্রলি দিয়ে নামিয়ে তুলে নেয় অটো রিক্সায়! পুলিশ বাঁধা দান করলে গ্রামবাসীরা চড়াও হয় পুলিশের উপর। এ বিষয়টি সাংবাদিকের ফোনে স্বীকার করেছেন মুঙ্গিয়াকামী ব্লক চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা। গ্রামবাসীর প্রশ্ন দীর্ঘ পাঁচ- সাড়ে পাঁচ ঘন্টা কোথায় ছিল পুলিশ? এই কথা গুলি বলেই পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। আর চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করল করিৎকর্মা পুলিশ। পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ দাসের ভূমিকা নিয়েও একপ্রকার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একজন চিকিৎসক কিভাবে ময়না তদন্ত ছাড়া মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়? তাছাড়া প্রশ্ন আরো রয়েছে, প্রকৃতপক্ষেই বৃদ্ধের মৃত্যু কি ফাঁসিতে আত্মঘাতী হয়েছে নাকি আর পেছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। যদিও সূত্রে খবর, রবিবার সকালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।