স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ ফেব্রুয়ারি : লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের মধ্যে নেই সুশাসন। গরু চুরি, নারী সংক্রান্ত ঘটনা সহ বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে। খবরের শীর্ষস্থান দখল করছে তাবড় তাবড় একাংশ মন্ডল নেতা। এবার স্বদলীয় কর্মীদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে শর্য্যাশায়ী গোলাঘাটি বিজেপি -র যুব মোর্চার সম্পাদক।
অভিযোগের তীর প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ আরো দুই কর্মীর দিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাঁপানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে গোলাঘাটির বিজেপি -র যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসের। অভিযুক্তরা বুথ সভাপতি অভিজিত বিশ্বাস, রঞ্জন কর্মকার এবং প্রবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের করা হয়েছে আমতলী থানায়। আক্রান্ত যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসের পরিবারের বক্তব্য, গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা বাজারে পাঁচ দিনব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন সমাপ্ত হয় সোমবার ভোররাতে। কীর্তন শেষ হওয়ার পর এলাকার লোকজন যখন নগরকীর্তনে বের হয় তখন কাঞ্চনমালা বাজার হয়ে গরু পাচারকারীরা গাড়ি দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গোলাঘাটির যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস গরু বুঝাই গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে গরু পাচারের কাগজপত্র দেখতে চায়। গরু পাচারকারীদের কাগজে লেখা আছে পাঁচটি গরু, কিন্তু গাড়িতে দেখতে পায় নয়টি গরু।
তাতেই সন্দেহ হয় যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ সহ অন্যান্যদের। তখন গরু পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কাঞ্চনমালা এলাকার পাল কলোনির ১০ নং বুথ সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস সহ আরো দুই দুষ্কৃতিকারী রঞ্জন কর্মকার ওরফে কেডু এবং প্রবীর বিশ্বাস যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসকে বেধড়কভাবে মারধর করতে থাকে। বুথ সভাপতি সহ দুষ্কৃতিকারীদের মারে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রসেনজিৎ দাস এবং একসময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতেই বুথ সভাপতি সহ দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে গা ঢাকা দেয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে মনে করছে প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি নিতাই শীলকে। এখন দেখার বিষয় পুলিশের তদন্তে কি বের হয়ে আসে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা গুরুতর আহত প্রসেনজিৎ দাসকে প্রথমে কাঞ্চনমালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে আহত প্রসেনজিৎ দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে জানিয়ে ১০ নং বুথ সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস, রঞ্জন কর্মকার ওরফে কেডু এবং প্রবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে গোটা ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লাড়ছে প্রসেনজিৎ।