Thursday, October 10, 2024
বাড়িরাজ্যমৃতদেহ সারারাত পড়ে রইল হাসপাতালের বারান্দায়, পুলিশ ঘুমাচ্ছে থানায়

মৃতদেহ সারারাত পড়ে রইল হাসপাতালের বারান্দায়, পুলিশ ঘুমাচ্ছে থানায়

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ফেব্রুয়ারি : অলসতা বেড়েছে বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশের। নিজেদের দায়িত্ব ধুলিস্যাৎ করে থানায় ঘুমের প্রতিযোগিতা চলছে। থানায় গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারে নি মৃতের পরিবার। রাতভর বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে পড়ে রইল মৃতদেহ। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রপতি কলার্স প্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের দিকে।

 ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিশালগড় থানার অন্তর্গত চাম্পামুড়া এলাকার কনক প্রভা পাল নামে এক বৃদ্ধ মহিলা শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পরিবারের লোকজনেরা মহিলাকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন চিকিৎসক মহিলার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বলেন। এবং ময়না তদন্তের জন্য পুলিশের কিছু ভূমিকা থাকে যার জন্য মহিলার পরিবারকে পুলিশকে জানানোর জন্য বিশালগড় মহিলা থানায় ছুটে যায়। থানায় গিয়ে দেখতে পায় বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ ঘুমে বিভোর। তখন মহিলা পুলিশদের ঘুম থেকে তুলতে বহু ডাকাডাকি করেন। কিন্তু উঠেনি কোন মহিলা পুলিশ কর্মী। ছুটে আসেন বিশালগড় থানা। সেখান থেকে আবার পাঠানো হয় বিশালগড় মহিলা থানায়। তারপর বহু ডাকাডাকি করার পর ঘুম থেকে উঠে এক মহিলা পুলিশ কর্মী। গোটা বিষয় বিস্তারিত জানান সিভিল ড্রেস পরিধান করা মহিলা পুলিশ কর্মীকে।

পরে এই মহিলা পুলিশ কর্মী হাসপাতালে যাবে বলে আশ্বাস দেন। তখন মৃত মহিলার পরিবারের লোকজন পুনরায় হাসপাতালে ছুটে আসে। আর পুলিশ আসার অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু মহিলা থানার পুলিশ আর হাসপাতালে যায় নি। যার ফলে পুলিশের অপেক্ষা করতে করতে মহিলার পরিবারের লোকজন বাড়িতে চলে যায়। এদিকে কনক প্রভা পালের মৃতদেহ সারারাত হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকে। রবিবার সকালে মহিলার পরিবারের লোকজন পুনরায় হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় সকাল হয়ে গেলেও বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ আসেনি। জানা যায়, রবিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশের দেখা মিলেনি হাসপাতালে। চাকরি পেয়ে এভাবেই ঘুমাচ্ছে কতিপয় পুলিশ কর্মী।

 নাইট ডিউটি করার মত কোন দায়িত্ববান কর্মী নেই অধিকাংশ মহিলা থানায়। বাড়ি ঘরের মতো থানার দরজা রাত হলেই বন্ধ হয়ে যায় সাধারণ মানুষের জন্য। ডাকাডাকি করে পুলিশকে ঘুম থেকে তুলতে পারিনি এ ধরনের খবর ভূ-ভারতে আগে কখনো জানা না গেলেও সেটাই বাস্তব। কারণ তারা ভালো করেই জানে রাত না শুধু, চাকুরী ঘুমিয়ে কাটালেও বারো মাসে ১৩ বার বেতন পাবে। আর বেকারমহল চাকরির জন্য রাস্তায় আন্দোলন করছে। সুতরাং, ২৪ ঘন্টা যাদের দায়িত্ব পালনের কথা তাদের মধ্যে অনেকেই একই থানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে এবার ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন, এটাই শেষ কথা!

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য