স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ফেব্রুয়ারি : ককবরক পরীক্ষার উত্তরপত্র যেন বাংলা হরফে লেখা হয়। তাহলে ছাত্রছাত্রীদের খাতা মূল্যায়ন করতে সুবিধা হবে। প্রশাসনিক নিয়মের উর্ধ্বে উঠে কিছুই করতে পারবেন না বলে জানান ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ড. ধনঞ্জয় গণচৌধুরি। এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা উপর যাতে প্রভাব না ফেলা হয় তার জন্য আহ্বান করলেন তিনি।
শনিবার তিনি পর্ষদের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ককবরক ভাষার পরীক্ষা উত্তর বাংলাতে লিখছে ছাত্রছাত্রীরা। যারা ককবরক পরীক্ষায় উত্তর রোমান হরফে লিখেছে তাদের জন্য পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা ছিল। আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা ককবরক বিষয়ক পরীক্ষার্থী রয়েছে, তারা রোমান হরফের পরিবর্তে যদি বাংলা হরফে পরীক্ষা দেয় তাহলে পর্ষদের খাতা মূল্যায়ন করতে সুবিধা হবে। তিনি জানান এই বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অপপ্রচার চলছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বলা হচ্ছে রোমান হরফই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যদি তারা বাংলাতে উত্তর লিখে তাহলে তাদের বিচার দেওয়া সম্ভব হবে। নাহলে কোন অবিচার হলে কিছুই করার নেই। কারণ তিনি দিল্লি সিবিএসসি বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশ পায়নি। নির্দেশ পেলে অবশ্যই রোমান হরফে উত্তর লেখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান করতে পারবেন। তিনি জানিয়ে দেন এ বিষয়টি নিয়ে যাতে কেউ রাজনীতি না করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকে গুরুত্ব দিয়ে সকলে যাতে তাদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। বিশেষ করে রোমান হরফে লিখলে ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা কতটা সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি পর্ষদ সভাপতি। কারণ পন্ডিত হলেই পরীক্ষার খাতা হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এবং যারা ইতিমধ্যে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন তাদের হাতেও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতে দেওয়া যায় না। সবকিছু বিচার বিবেচনা করেই পরীক্ষা খাতা মূল্যায়ন করতে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও গত কয়েকদিন ধরে রোমান হরফে উত্তর লেখা নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছে। বিধানসভা অধিবেশন থেকে শুরু করে গত কয়েকদিন ধরে এ ধরনের অপপ্রচার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য রাখা হচ্ছে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং শুক্রবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক নেতা পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে বলে প্রয়োজনে অভিভাবকরা ওনার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তবে পরীক্ষার প্রাক মুহূর্তে এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষাবিদরা।