স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জানুয়ারি : অবিলম্বে বকেয়া ২৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা, সপ্তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা, অবিলম্বে সকল অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন ক্রম চালু করা, বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ পূরণ করা সহ মোট ১৪ দফা দাবিতে রবিবার ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন গণ অবস্থানে শামিল হয়। রাজধানীর পোস্ট অফিস চৌমুহনিতে তারা বিক্ষোভ দেখায়।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শান্তি রঞ্জন দেবনাথ, মহাসচিব প্রদীপ ভৌমিক সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব। তারা বর্তমান কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এই দিন কর্মসূচি থেকে তুলে ধরেন। তারা বলেন এদিন চার ঘন্টার গণ অবস্থান করা হবে। গণ অবস্থান থেকে ১৪ দফা দাবি সরকারের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। কারণ দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতন পাচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের কর্মচারীরা। বাম আমলেও বঞ্চনা ছিল। কর্মচারী সংগঠনগুলি বঞ্চনা অবসানের জন্য বিভিন্ন সময় আন্দোলন মুখী হয়েছে। তারপর ২০১৮ সালের আগে বিভিন্নভাবে কর্মচারীদের দুহাত তুলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোনামুড়া এসে বলেছিলেন সরকার গঠনের পর সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়া হবে।
কিন্তু দেখা গেছে দ্বিতীয়বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও রাজ্যের কর্মচারীরা প্রায় ২৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পিছিয়ে আছে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের থেকে। কর্মচারীরা সরকার গঠনে বড় ভূমিকা পালন করলেও দেখা যাচ্ছে পরবর্তী সময়ে বাম আমলের নীতি থেকেও আরো খারাপ নীতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে রাজ্যে চলছে। কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও অন্যান্য দাবি নিয়ে আন্দোলনের কোন পরিস্থিতি নেই বলে জানান তারা। তাই আজকের আন্দোলন থেকে বিশেষভাবে কর্মচারীদের সমস্যা গুলি সমাধান করার জন্য দাবি তোলা হয়েছে বলে জানান।