স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : মিস্টার যাদব, এনাফ ইজ এনাফ। পশ্চিমবঙ্গের পুনঃবৃত্তি আর ত্রিপুরা রাজ্যে করবেন না। একজন বরিষ্ঠ আইনজীবীর সাথে আইএস অফিসারের দুর্ব্যবহার কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। নাহলে আইনের মিউজিক শুনতে কি রকম লাগে সেটা শুনিয়ে দেওয়া হবে।
এই হুশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত চৌধুরী। শনিবার ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি জানান, ২০১৮ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ আগরতলা স্থিত নেতাজি সুভাষ রোডে আইএস অফিসার শৈলেশ যাদবের নেতৃত্বে পশ্চিম থানার পুলিশ বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায়।
সে সময় গ্যাস কাটার দিয়ে দোকানের তালা ভাঙার সময় আগুনের ফুলকি ঝরছিল। তখন বিরিষ্ঠ আইনজীবী তথা স্থানীয় তপন সাহা বাড়ি থেকে বের হয়ে বলেছিলেন যেহেতু দোকানের ভেতর বাজি রয়েছে তাই এভাবে গ্যাস কাটার দিয়ে তালা না ভাঙার জন্য। কারণ এতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। তখন আইএস শৈলেশ কুমার যাদব পশ্চিমবঙ্গ থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওসি সাহেব যথারীতি বরিষ্ঠ আইনজীবী তপন সাহাকে ধস্তাধস্তি করেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে তুলে তপন সাহাকে। আদালত এই মামলায় তপন সাহাকে জামিন দিয়ে দেয়। তারপর তপন সাহাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার বিষয়সহ এভাবে বেআইনিভাবে গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তারপর দুটি বিষয়ে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ তপন বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
আদালতের নির্দেশে তপন বাবু হাজির হয়। এবং তিনি লিখিত আপত্তি জানান। ২০১৯ সালে এর মামলার তদন্তের জন্য পশ্চিম আগরতলা থানাকে আদালত নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ চার বছর পর পুলিশ সম্প্রীতি তদন্ত করে রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়। এর তদন্তকারী অফিসার নাম নিত্যানন্দ সরকার। আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত চৌধুরী আরো জানান এই তদন্তে কোনরকম স্বচ্ছতা নেই। কারণ প্রথম পর্যায়ে একজন সাব ইন্সপেক্টর দিয়ে এর তদন্ত হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে পরবর্তী সময়ে একজন ডি ওয়াই এস পি দ্বারা তদন্ত শুরু হয়। এতে কোনভাবেই তদন্তের স্বচ্ছতা বের হয়ে আসতে পারবে না। একজন আই এস অফিসারের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত হয় তখন প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উচ্চ পদস্থ আধিকারিক দিয়ে তদন্ত করতে হয়। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। তাতে যথেষ্ট সন্দেহের দানা বেঁধেছে। এই মামলাটি বর্তমানে আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত চৌধুরী। সঙ্গে রয়েছেন মৃণাল কান্তি বিশ্বাস। আইনজীবী মৃনাল কান্তি বিশ্বাস বর্তমানে ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি। গোটা বার এসোসিয়েশন পুলিশের এবং আইএস অফিসারের এ ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র সন্দেহ প্রকাশ করেন বলে জানান তিনি। এই সন্দেহের পিছনে আরও মূলত কারণ রয়েছে। সেটা হল চিকিৎসক মেডিকেল রিপোর্টে তপন বাবু অ্যালকোহল গ্রহণ করেননি বলে প্রকাশ করলেও পুলিশ চার্জশিটের মাধ্যমে রিপোর্ট দিয়েছে তাকে বলা হয়েছে তপন বাবু অ্যালকোহল গ্রহণ করেছিলেন। তাই এ ধরনের মিথ্যা রিপোর্ট আদালতকে দেওয়ার জন্য তিনি সতর্ক করে বলেন আইএস অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।