স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : নতুন দিল্লিতে নয় মাস প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জাপানের একটি নার্সিং কেয়ারে চাকরি পেলেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ থেকে বিএসসি নার্সিং কোর্সে উত্তীর্ণ রাজ্যের তিন কৃতি সন্তান। বুধবার এই তিন কৃতি সন্তান তাদের নিযুক্তিপত্র সহ হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা সরকারি আবাসে। তিনজনকেই এই সাফল্যের জন্য সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ থেকে বিএসসি নার্সিং কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বিকশিত ভারত নির্মানের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে জাপানি ভাষার উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন রাজ্যের তিন কৃতি সন্তান। তারা হলেন রাজধানী আগরতলার ধলেশ্বর এলাকার দীপ্তনু সরকার, সিপাহী চলা জেলার কোনাবন এলাকার তানিয়া দাস এবং ধলাই জেলার রিশমা শিল।
দীর্ঘ নয় মাস জাপানি ভাষার উপর প্রশিক্ষণ শেষ করে রাজ্যের এই তিন কৃতি সন্তান চাকরির জন্য পরীক্ষা দেয়। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জাপানের একটি নার্সিং কেয়ারে চাকরি পাওয়ার পর নিযুক্তিপত্র হাতে পেয়েছেন রাজ্যের এই তিন কৃতি সন্তান। বুধবার তারা প্রত্যেকেই তাদের নিযুক্তিপত্র সহ হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহার সরকারি আবাসে। মুখ্যমন্ত্রীকে তারা প্রত্যেকেই তাদের নিযুক্তিপত্র দেখান। এই অনন্য সাফল্যের জন্য তাদেরকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাদের তিনজনকেই সফলতার জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন তিনি। তাদের এই সাফল্য রাজ্যের জন্য গর্বের। যা অনুপ্রেরণা যোগাবে যুবশক্তিকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকশিত ভারত নির্মাণের দিশায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্তরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের পাশাপাশি দেশের যুবক-যুবতীরা। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সংবর্ধনা পাওয়ার পর খুবই খুশি এই তিন কৃতি সন্তান। দীপ্তনু সরকার জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই জাপানে যাওয়ার তার খুব স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে একমাত্র স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়েই। তানিয়া দাস জানিয়েছেন দীর্ঘ নয় মাস প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পরীক্ষার মাধ্যমে জাপানের নার্সিং কেয়ারে চাকরি পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি। এর জন্য তিনি সকলকে অভিনন্দন জানান। রিশমা শীল জানিয়েছেন, জাপানের মত একটি জায়গার নার্সিং কেয়ার চাকরি পাওয়ার অনুভূতিটাই আলাদা। যা ভাষায় প্রকাশ করা খুবই কঠিন।
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার রাজ্যের এই তিন কৃতি সন্তান আগামী দিনে অনুপ্রেরণা যোগাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের। দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাব, গভীর অধ্যাবসায় আর উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর অদম্য জেদ থাকলে যেকোনো অসাধ্যকে যে সাধ্য করা যায় তা প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজ্যের এই তিন কৃতি সন্তান।