স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : বি এড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বৃত্তির দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ কথা বলে বিক্ষোপকারীদের সঙ্গে। পুলিশের সামনে বিক্ষোভকারীরা অতিসত্বর স্কলারশিপ প্রদানের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় ধরে দপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের স্কলারশিপ প্রদান নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ অন্যান্য পশ্চাৎপদ শ্রেণী কিংবা তপশিলি উপজাতিদের কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে সময় মত।
কিন্তু তপশিলি জাতিভুক্ত বিএড উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এই স্কলারশিপ প্রধান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তাদেরকে ছোট করে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টা তাদের কাছে নিতান্তই অপমানজনক। তারা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছে। দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা। দপ্তরের আধিকারিকরা নাকি বলছেন একবার দুর্গা পূজার আগে স্কলারশিপ পাবে আবার কখনো বলছেন দুর্গাপূজার পর স্কলারশিপ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। এভাবে দুর্গাপূজার পর আরো কেটে যায় কয়েকটা দিন। দায়িত্ব পালন করতে আসা পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে তারা প্রশ্ন করেন এক মাস বেতন না পেলে তাদের সংসার কিভাবে চলবে? কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীদের প্রশ্নের কোন উত্তর নেই তাদের কাছে। জুন – জুলাই মাসে তাদের এই স্কলারশিপ পাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের টালবাহানার কারণে আজও স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত তারা। তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা বারবার মৌখিকভাবে তাদেরকে আশ্বস্ত করলেও লিখিতভাবে কোন কিছুই জানাতে পারেননি। কলারশিপ না পাওয়ার কারণে ধারদেনা করে তারা বিএড কোর্স কমপ্লিট করেছে। তাদের অভিযোগ মুখোশধারী কিছু সরকারি কর্মচারীর জন্যই তাদের এই পরিণতি। স্কলারশিপ পাওয়ার দাবি নিয়ে তারা কথা বলেছে রাজ্যের তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের সঙ্গেও। কিন্তু কোনভাবেই তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। তাদের এখানে প্রায় দু হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। যারা এই স্কলারশিপের উপর ভর করেই বহি রাজ্যে গিয়ে বিএড করেছেন। সময় মত স্কলারশিপ প্রদান করা হলে তাদের এই আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হতো না। শীঘ্রই স্কলারশিপ প্রদান না করা হলে আগামী দিনে আরো বড়সড় আন্দোলনের পথ বেছে নেবে তারা। এমনটাই জানানো হয়েছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।