স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক,১৮ ডিসেম্বর : আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজে আর্ট অফ এক্সিলেন্স এর পাশাপাশি গবেষণা কেন্দ্রও যাতে হয়ে ওঠে এর উপর গুরুত্ব দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। আর এই প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে আগরতলার সরকারি ডেন্টাল কলেজে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এখান থেকে গবেষণা করে বহু ডেন্টাল চিকিৎসক নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা আরো বলেন এখানে বিডিএস এর পর আসন সংখ্যা বাড়বে। কিছু সমস্যা থাকলেও হোস্টেল করা হবে। হবে এমডিএসও। মেয়েদের হোস্টেলের পাশাপাশি ছেলেদের হোস্টেল এবং পিজিদের হোস্টেল ও করা হবে। এই ডেন্টাল কলেজ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানেরও একটা ব্যবস্থা করতে পেরেছে রাজ্য সরকার। আগে একটা সময়ে ত্রিপুরাতে ডেন্টাল সার্ভিস রুলস ছিলনা। ডেন্টিস্ট বলা হত। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। এখন বলা হয় ডেন্টাল সার্জেন্ট। রাজ্য মন্ত্রিসভায় ত্রিপুরা ডেন্টাল এডুকেশন এডমিনিস্ট্রেটিভ এন্ড ফ্যাকাল্টি সার্ভিস কন্ডিশন রুলস ২০২৩ পাস করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এর আওতাধীন সরকারি কর্মচারীদের। বর্তমানে কর্পোরেট স্টাইলে হাসপাতালগুলো গড়ে উঠছে। আর এর জন্য কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা আরো বলেন বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এই ডেন্টাল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। রাজ্যের সরকারি ডেন্টাল কলেজ স্থাপিত হবে তা কোনদিন ভাবতে পারেনি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজে একটা সময়ে রোগীরা চিকিৎসা করতে এসে মেঝেতে কাটাতো দিনরাত। এ বিষয়টা নেহাতই দুঃখজনক। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে খবরের কাগজের শিরোনামেও স্থান পেতো। আসন সংখ্যা ছিল ৭২৭ টি।
আর বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৪১৩ টি। স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির যথেষ্ট সচেতন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কারণেই জন আরোগ্য যোজনা, আয়ুষ্মান কার্ড পেয়েছেন গরীব অংশের সাধারণ মানুষ। আসলে গরিব ঘরের কেউ যদি প্রধানমন্ত্রী হন তিনি বুঝতে পারেন মানুষের দুঃখ দুর্দশা কি রকম। চলতি বছরের বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে পিছিয়ে পড়া ১৮ টি শ্রেণির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার শুভ সূচনা করেছেন। তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে তারা ৫০০ টাকা করে পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছে। তিনি আরো বলেন বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। আর সেই স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরায় ১৬টি ভারত বিকশিত সংকল্প যাত্রার গাড়ি পাঠিয়েছেন।