স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : মিধিলির পর গত ৭ ডিসেম্বর অকাল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। ধান সহ বিভিন্ন শাঁক সবজি চাষ করে মাথায় হাত রাজধানী লাগোয়া শানমুড়া এলাকার কৃষকদের। চাষ করার সময় মিলেনি কোন সরকারি সাহায্য। তার উপর দুই দুই বার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধান সহ অন্যান্য শাঁক সবজির। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি সরকার তাদেরকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করুক। তাহলে তারা পুনরায় চাসবাস করতে পারবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক জানান ধান সহ শাক সবজি চাষ করার ক্ষেত্রে মিলেনি কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা। নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে চাষবাস করেছেন। কিন্তু পর পর দুইবার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বর্তমানে তিনি ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখিন। প্রথম ঘূর্ণি ঝড়ে একবার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়ে ওনার ধান ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ধান ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে কাটা ধান।
আবার পাকা ধান জলের নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান সরকার যদি আর্থিক সাহায্য করে তবেই তারা পুনঃরায় ধান সহ শাঁক সবজি চাষ করতে পারবে। অপর এক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান প্রথম ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্বিতীয় বার ঘূর্ণিঝড়ে যা বাকি ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। প্রথম বার ঘূর্ণি ঝড়ের পর কৃষি দপ্তর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাম লিখে নিয়ে গেছে। কিন্তু কোন আর্থিক সাহায্য মিলেনি। তিনি আরও জানান দুইবার ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তাতে খরচের টাকাও উঠবে না। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ফুটে উঠেছে ধান ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা ধান। নষ্ট হয়ে গেছে শাঁক সবজির গাছ। অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ কৃষি দপ্তর থেকে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাম, ব্যাঙ্ক একাউণ্ট নাম্বার ও আধার কার্ড নাম্বার সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। কিন্তু আর্থিক সাহায্য তারা পায় না বলে অভিযোগ। এখন দেখার সরকার এই বিষয়টির প্রতি কতটা নজর দেয়।