স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : সচেতনতার অভাবে রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত ত্রিপুরায় মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৬৯ জন। এর মধ্যে সিংহভাগ পুরুষ। আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যা ৪২৪৬ জন। আক্রান্ত মহিলার সংখ্যা ১০২২ জন এবং বৃহন্নলা ১ জন। এরমধ্যে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫৭৬ জন। প্রতিমাসে রাজ্যের প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক নতুন এইচআইভি আক্রান্তের সন্ধান মিলছে।
যা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। শুক্রবার উমাকান্ত স্কুলে বিশ্ব এইচআইভি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সচেতনমূলক কর্মসূচিতে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি জানান চলতি অর্থবছরে মোট এইচআইভি পরীক্ষা হয়েছে এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার ৩১৮ জনের। সংক্রমিত হয়েছে ১,১১১ জন। মুখ্যমন্ত্রী জানান এইচআইভি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, কাউন্সিলিং ও পরীক্ষার জন্য রাজ্যে ২৪ টি হাসপাতালে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এবং টেস্টিং সেন্টার করা হয়েছে। ১৩৩ টি হাসপাতালে ফ্যাসিলিটি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এবং তিনটি পিপিপি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সিলিং কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মা ও শিশুর এইচআইভি সংক্রমণ রোধের জন্য আগরতলা গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ এবং জিডিপি হাসপাতালে একটি করে ইভেনশন অফ পেরেন্ট টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রাজ্যের আটটি জেলার মধ্যে এইচআইভি রোগী আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পশ্চিম জেলায়। এই জেলাতে ১,১৯৪ জন আক্রান্ত রয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ধলাই জেলা। ধলাই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০৬ জন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে মুক্তি পাওয়া যাবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় জানান শুধু বিশ্ব এ আই ডি এস দিবসে অনুষ্ঠান করলে চলবে না। এর বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামাজিক সংস্থাগুলিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর এদিকে সচেতন রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সচেতন হওয়ার বিশেষ আহ্বান জানান। পরে একটি মিছিল সংঘটিত করে আগরতলা শহরের পথচারীদের সচেতন করা হয়।