স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ এক টিম গঠন করে সাতজন চোরকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। ধৃতরা সুজিত দাস, ঝুলন মিয়া, আকাশ দে, বাপন দেবনাথ, দীপ্তনু সাহা, টোটন বর্মন, অন্তর দেববর্মা। একটি গ্যাং তৈরি করে তারা তিনটে বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা সংঘটিত করেছে। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় বেশ কয়েকটি চুরির মামলা দায়ের হয় পূর্ব আগরতলা থানায়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অধিকাংশ চুরির ঘটনায় চোরেরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। তাই চোরদের জালে তুলতে পূর্ব আগরতলা থানার ওসির নেতৃত্বে একটা টিম গঠন করা হয়।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ২৯ নভেম্বর সুজিত দাস, ঝুমন মিয়া ও অন্তর দেববর্মা নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার হয়। তাদেরকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের পর আকাশ দেব, টুটন বর্মণ, বাপন দেবনাথ ও দিপ্তনু সাহার নাম জানা যায়। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আকাশ দেবের বাড়ি ঋষি কলোনি এলাকায়, বাপন দেবনাথের বাড়ি তোলাকোনা এলাকায়, দীপ্তনু সাহার বাড়ি মহেশখোলা এলাকায় এবং টোটন বর্মনের বাড়ি মেলাঘরে। তাদের কাছ থেকেও উদ্ধার হয় বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার। ধৃতদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অধিকাংশ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের ফের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসে বাকি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আরও জানান ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর নতুন করে কোন চুরির ঘটনা ঘটে নি পূর্ব আগরতলা থানা এলাকায়। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আরো জানান গোটা গ্যাং এই চুরির ঘটনা সংঘটিত করেছিল গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদর্শ কলোনি এলাকার সাগরিকা চক্রবর্তী বাড়ি থেকে। দ্বিতীয় ঘটনাটি সংঘটিত করেছিল গত ২৫ নভেম্বর ধলেশ্বর স্থিত তন্ময় দাসের বাড়ি থেকে। এবং অপর ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছিল গত ১৫ নভেম্বর শিবনগর স্থিত অপু চন্দের বাড়ি থেকে। পুলিশ আধিকারিক আরো জানান অধিকাংশ সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সামগ্রী গুলি দ্রুত উদ্ধার করতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।