স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি: নয় শতাধিকের ঘরে পা রাখল রাজ্যে মৃত্যু। ২৪ ঘন্টার করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো ৬ জনের। দ্রুতগতিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে করোনা সংক্রমণ রাজ্যে অনেকটাই আগের তুলনায় দুর্বল হয়েছে বলে অভিমত রাজ্য সরকারের। তাই সোমবার থেকে রাজ্য সরকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। সোমবার রাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করে নৈশ কারফিউ সময়সীমা রাত আটটার পরিবর্তে পিছিয়ে দিয়ে ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত করেছে।
অফিস-আদালতে ১০০ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক বলা যায় পুরোদমে সমস্ত কিছুই আবার ছন্দে ফিরতে দেখা গেছে মঙ্গলবার। এদিন রাজ্যের শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলে ৫০ শতাংশ লোকের উপস্থিতিতে খোলা হয়েছে। একইভাবে জিমনাসিয়াম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, স্টেডিয়াম, বিউটি পার্লার, সেলুন এইগুলিও খোলা হয়েছে এদিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড বিধি নিষেধ মান্যতা নিয়ে অভিযান না থাকলেও সর্বত্র যেন স্বাভাবিক ছিল। রেস্টুরেন্ট ও ধাবা গুলিতে ছিল মানুষের আনাগোনা। বাজার হাটে মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব অনেকেই রাখে নি। ঘোষিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আইন লংঘন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সব যেন স্বাভাবিক। হয়তো আগামী দিনে মানুষের কাছে আবারও কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রাজ্যে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১৪৩ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১৯৬ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সংক্রমণের হার ৩.৪১ শতাংশ। পশ্চিম জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৫৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ৮ জন, খোয়াই জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ৬ জন, গোমতি জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ১২ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ২১ জন, উত্তর জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ৯ জন, ধলাই জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ১৪ জন, ঊনকোটি জেলায় সংক্রমিত হয়েছে ১৪ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৫২৫ জন। সুস্থতার হার ৯৫.৫৮ শতাংশ। উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল।