স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : মঙ্গলবার সন্ধ্যার নাগাদ উদয়পুর এগ্ৰিকালচার চৌমুহনী রাঙামাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের এলাকার যুবক আক্তার হোসেন একটি অটো রিকশা চালিয়ে আসার সময় এলাকার অনিল দাশের ৩৫ বছরের ছেলে সুব্রত দাশ আচমকা মারধর শুরু করে। এই ঘটনায় রজ্জব আলীকে মারামারি না করার জন্য বলা মাত্রই সুব্রতের সঙ্গে থাকা কুলবুসন দেবনাথের ৩৫ বছরের ছেলে সঞ্জয় দেবনাথ, বলাই দাশ সহ আরো ও কয়েক জন মিলে রজ্জব আলীকে মারতে থাকে।
এক সময় ৬০ বছরের রজ্জব আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী মিলে রজ্জব আলীকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর রজ্জব আলীর ছেলে রাতে রাধা কিশোরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন সুব্রত, বলাই, সঞ্জয় সহ এক মহিলার বিরুদ্ধে। যার মামলা নম্বর ১৬৭/২০২৩, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৫/৩০২/৩৪ আই পি সি ধারায় মামলা হাতে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তিনজন আসামি সুব্রত, সঞ্জয় ও বলাইকে রাতেই রাধাকিশোরপুর থানায় পুলিশ গ্ৰেপ্তার করে নিয়ে আসে। বুধবার সকাল থেকে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে রাঙামাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অধিন উদয়পুর – কিল্লা রাস্তা অবরোধে বসে এলাকার নারী পুরুষ সকলে।
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথ অবরোধে বসে এলাকার লোকজন। মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসীর পক্ষ জানানো হয় বিশ্বজিৎ পাল নামে আরও একজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাকেও গ্ৰেপ্তার করার দাবি জানায়। এবং মৃত রজ্জব আলীর পরিবারের পাশে সরকারি সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়। এলাকার বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার খুনের সাথে জড়িত প্রত্যেকে পুলিশ গ্ৰেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করবে বলে আশ্বাস দেন। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি নিজেও। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে রাস্তা অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হয় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী তরফ থেকে পরবতী সময়ে বিধায়কের কথা অনুযায়ী পথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কয়েক ঘন্টা পথ অবরোধের ফলে দুই দিকে মানুষের যাতায়তের প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হয় এদিন।