স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ নভেম্বর : ভারতীয় জনতা পার্টি বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দিতে তারা উস্তাদ। এ ধরনেরই একটি ঘটনা সংঘটিত হলো রাজ্যে। তা হলো রাজ্যের খ্রিস্টান ধর্মালম্বী আদিবাসীদের মধ্যে যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছে তাদের স্ট্যাটাস কেড়ে নিতে চাইছে। এটাই বিজেপি -র বিভাজনের রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি মঙ্গলবার বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে আরো বলেন, গ্রাম, পাহাড়ে যেসব আদিবাসীরা থাকে তাদের উন্নয়নের কথা কেউই ভাবে না। সেখানে নানা সমস্যায় ধুঁকছে আদিবাসী অংশের মানুষ। বিশেষ করে কাজকর্ম নেই, শিক্ষা, খাদ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রেই তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এগুলির দিকে এখন পর্যন্ত কেউ নজর দিচ্ছে না।
জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ বিজেপি -র বিভাজনের রাজনীতিতে মদত দেওয়ার জন্য স্লোগান তোলেন মাঠে নেমেছে। যার ফলে শাসকগোষ্ঠী এবং সরকার এ বিষয়ে চুপ। তাই কংগ্রেস দল জানতে চায় যে স্লোগান তোলা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া কি? পাশাপাশি সরকারি একটি পদক্ষেপ? আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের বড়দিন উৎসবে তারা আগরতলা শহরে একটি বড় জমায়েত করে খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে এস টি স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলবে। কিন্তু জানা নেই এই জমায়েত এবং মিছিলের অনুমতি সরকার দিয়েছে কিনা। যদি দিয়ে থাকে সেটা বাতিল করার দাবি করা হচ্ছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশে এম এইচ -এর উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপদেষ্টা এ কে মিশ্রা সোমবার রাজ্যে এসেছেন। সরকার যদি সত্যিই আন্তরিক হতো তাহলে সবগুলি দলের সাথে এ কে মিশ্রার সাক্ষাৎ সুনিশ্চিত করত। কিন্তু করেনি। তারপরও কংগ্রেস দলের দাবি ১২৫ তম বিল নিয়ে আসার জন্য। এবং রাজ্য সরকারের কাছে যে দাবি তুলেছে তার মধ্যে সরাসরি অর্থ প্রদানের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে দ্রুত যাতে এই বিল পাশ করা হয়।