Saturday, January 25, 2025
বাড়িরাজ্যআর কদিন বাদেই লুটা কম্বল নিয়ে গুজরাটে চলে যেতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে...

আর কদিন বাদেই লুটা কম্বল নিয়ে গুজরাটে চলে যেতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : বিজেপি দেশের শ্রমিক ও খেত মজুরদের অধিকার খর্ব করছে, বেকার যুবকদের কাজ খেয়ে ফেলছে, দলিত অংশের মানুষের অধিকার সংকুচিত করছে এবং দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভাজন এবং কালো টাকার জোরে একটি সুবিধাবাদী দলের পরোক্ষে রাজ্যে এ সরকার ৬ বছর ধরে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৭ দফা দাবিতে তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতি ও ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন সহ সাতটি সংগঠনের আহ্বানে আয়োজিত রাজভবন অভিযানে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন রাজভবন অভিযান শুরু হয়েছিল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সার্কিট হাউস এলাকায় পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়া মিছিলে দাঁড়িয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরী বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বিজেপি পোষা সমাজদ্রোহী দিয়ে গণতন্ত্র লুট করছে এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করছে।

আর এদিকে অভাব অনটনে মানুষ সন্তান বিক্রি করছে ও সন্তান সহ কুয়ায় ঝাঁপ দিচ্ছে। আর এই সুবিধাবাদী সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আগরতলা শহরে কার্নিভাল করছে। তিনি নাম উল্লেখ না করে বললেন, দুর্গাপূজার আগে যখন রেগা শ্রমিকদের মজুরি মিলছিল না, হতাশায় তারা এদিক-ওদিকে ঘুরছিল এবং গ্রামের বাজার গুলি শুকনো ছিল তখন এক মন্ত্রী নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে জামদানি শাড়ি বিলি করেছে। প্রদেশ বিজেপির সভাপতিও যে বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রেও দামি শাড়ি বিলি করেছেন। সারারাত অনুষ্ঠান করে আনন্দ করছে। আগরতলা শহরে কার্নিভাল করছে। এই টাকা কোথা থেকে আসেছে ? এ টাকা জনগণের টাকা, উন্নয়নের জন্য প্রদান করা হয়েছিল। এই টাকা দিয়ে মন্ত্রীরা এবং প্রদেশ বিজেপির সভাপতি এ ধরনের অনুষ্ঠান ও দামি কাপড় বিলি করছে। আর এখন বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার কথা মনে হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু আর কদিন বাদেই লুটা কম্বল নিয়ে গুজরাটে চলে যেতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে কামান দাগেন শ্রী চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, কৃষক, শ্রমিকদের অধিকার লুট করে, বেকারদের চাকুরি না দিয়ে এবং সরকারি কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত করে যারা এভাবে ফুর্তি করছে তাদের কারণে দৃশ্য দূষণ হচ্ছে। তাই এই সরকারটা সর্বভোগ সরকার বলে জানান তিনি।

তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন এ রাজ্যের তপশিলি অংশের মানুষের অধিকার ভুলন্ঠিত হচ্ছে এ সরকারের কারণে। এদিন আরএসএস নেতা মোহন ভাগবতকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মোহন ভগবত বলছেন দেশে অমৃতকাল চলছে। কিন্তু কোথায় সেই অমৃতকাল? যে ভারত আজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মত দেশ থেকেও পিছিয়ে গেছে এই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। যার কারণে রাষ্ট্রসংঘ বলছে, বিশ্বে ৭০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। আর এর মধ্যে ৪০ কোটি মানুষ ভারতবর্ষে বসবাস করে। শুধু তাই নয়, এ সরকারের আমলে দেশে নিরক্ষর বেড়েছে, ক্ষেত মজুর বেড়েছে, কৃষকরা জমি হারাচ্ছে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে ভূমিহীন বেড়েছে। আর এই সরকার রেল, বিমান সবকিছুই আদানির হাতে তুলে দিচ্ছে। এদিন আয়োজিত বামেদের সভায় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। লোকসভা নির্বাচনে আগে বামেদের একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের এক অন্যতম চমক বলা চলে আজকের রাজভবন অভিযান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য