স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর : সোমবার সাত সকালে বাপের বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচালয়ে উদ্ধার গৃহবধূর মৃতদেহ। ঘটনা সোনামুড়া মধুবন কলেজে রোড এলাকায়। মৃত মহিলার নাম সুদিপা সাহা, বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। পিতার নাম নিমাই চন্দ্র সাহা। পরিত্যক্ত শৌচালয় থেকে অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয় সুদিপার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনামুড়া থানার পুলিশ। জানা যায়, সোনামুড়া মধুবন কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা নিমাই চন্দ্র সাহা। সোনামুড়ার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত তিনি।
নিমাই চন্দ্র সাহার মেয়ে সুদিপা সাহা। বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। ১২ বছর পূর্বে সুদিপা ভালোবেসে এক যুবককে বিয়ে করে। তারপর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। সুদিপার দুই সন্তানের জন্ম হয়। তারপর শুরু হয় তাদের সংসারে অশান্তি। ৩ বছর পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর সুদিপার দুই সন্তান পিতার কাছে থাকে। অপরদিকে সুদিপা নিজের বাপের বাড়িতে বসবাস শুরু করে। স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকে সুদিপা কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এরই মধ্যে সোমবার সকালে বাপের বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুদিপার মৃতদেহ। সুদিপার পিতা নিমাই চন্দ্র সাহা জানান রবিবার রাতেও সুদিপা স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছে সকলের সাথে। সোমবার সকালে সুদিপাকে দীর্ঘ সময় ওনারা বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
তখন বাড়ির একটি পরিত্যক্ত শৌচালয়ে সুদিপার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ দেখতে পান। পরে খবর দেওয়া হয় সোনামুড়া থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সোনামুড়া থানার পুলিশ। পরবর্তী সময় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সোনামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোনামুড়া থানার এক পুলিশ অফিসার জানান সঠিক তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সুদিপা কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কারন স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তিন বছর ধরে বাপের বাড়িতেই ছিল সুদিপা। বাপের বাড়িতে সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল বলে জানা যায়।