স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ নভেম্বর : পরিবর্তিত ত্রিপুরা বৈভবশালীতার দিকে যেভাবে এগুচ্ছে তার সৈনিক হিসাবে সকলকে মিলে কাজ করতে হবে। তবেই ত্রিপুরাকে আত্মনির্ভর রাজ্যে হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শুক্রবার রাজ্যভিত্তিক জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবসের অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। এদিন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্যভিত্তিক জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। এবারের জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবসের মূল ভাবনা প্রতিদিন সবার জন্য আয়ুর্বেদ ।
অর্থাৎ পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত মানুষ, গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণী সকলের সুস্বাস্থ্য আয়ুর্বেদের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা। তাছাড়া এবার ছাত্র, কৃষক, এবং জনসাধারণকে আয়ুর্বেদ সম্পর্কে সংবেদনশীল করার জন্য এই দিবসে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমগ্র দেশে মাসব্যাপী উদযাপন করা হবে দিনটি । আয়ুর্বেদ হলো একটি হলিস্টিক মেডিসিন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে তাদের শরীর ও মন সঠিক রাখতে পারে সেই বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন পরিবর্তিত ত্রিপুরাকে দেখতে হবে। অনুষ্ঠানে এক্সিলেন্স ইন হেলথ কেয়ার সার্ভিস” এওয়ার্ড-এ সম্মান জানানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ৬ জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের সম্মান জানানো হয়। ডা: কিশোর দেববর্মা, ডা: বিজয় চৌধুরী, ডা. শৈবাল চন্দ্র পন্ডিত, ডাঃ অভিজিৎ সাহা, ডা: মলিল দাসকে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড-এ সম্মান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব ডা: সন্দ্বীপ আর রাঠোর, স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা সুপ্রীয় মারক, পরিবার পরিকল্পনা ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের অধিকর্তা ডা: অঞ্জন দাস, মেডিক্যাল এডুকেশন দফতরের অধিকর্তা প্রফেসর ডাঃ এইচ পি শর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ডি কে চাকমা প্রমুখ। এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৩৮ টি আয়ুষ হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার চালু হয়েছে। আগামীদিনে আরও ৪৮৭টি, আয়ূষ হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেটটি চালু হবে। জিরানীয়া, ডুকলি এবং মোহনপুর আর ডি ব্লকের তত্বাবধানে চালু হচ্ছে আয়ুষ গ্রাম প্রকল্প।