স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ নভেম্বর : স্যন্দনের খবরের চেয়ে নাগিছড়া ফিস ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডের অরাজকতা বন্ধ করতে মাঠে নামলেন মেয়র দীপক মজুমদার। শহরে যানজট মুক্ত করতে আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে নাগিছড়ায় নাগিছড়া ফিস ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডের উদ্বোধন হয়েছিল। মূলত শহরের যানজট এড়াতে এবং বাজার গুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকা বহিঃ রাজ্য থেকে মাছের গাড়ি থেকে আবর্জনা এবং দুর্গন্ধ এড়াতে এই ফিস ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডটি নির্মাণ করা হয়। এই ইয়ার্ডে বহিঃ রাজ্য থেকে মাছ নিয়ে আশা লরিগুলি দাঁড়ানোর পাশাপাশি চালকদের জন্য রাখা সুবিধা। এই ইয়ার্ড থেকেই ছোট গাড়ি করে বাজার গুলিতে পৌঁছে যাবে মাছ।
ইয়ার্ডটি চালু হওয়ার পর থেকে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। সম্প্রতি নাগিছড়া ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড উদ্বোধনের হওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে প্রচার চালানো হয়। প্রত্যেক লড়ি থেকে বেআইনিভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে তোল্লা আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর মাছ বুঝাই গাড়ি সেখানে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেয়। স্যন্দন পত্রিকা এবং স্যন্দন টিভিতে এই অরাজকতার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পুনরায় পরিদর্শনে যান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। মাছের ইয়ার্ডটি পরিদর্শন করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সাথে কথাবার্তা বলেন। সমস্যা গুলি সম্পর্কে অবগত হন।
পরে মেয়র দীপক মজুমদার জানান ব্যবসায়ীদের কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাঝে মহারাজগঞ্জ ও বটতলা মাছ ব্যবসায়ীদের পক্ষে আবেদন জানানো হয় দুর্গাপূজার দশমীর জন্য মাছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাজারে বড় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় নিগম। কিন্তু এরপর থেকে এই ব্যবস্থা বজায় রাখে ব্যবসায়ীরা। মান্যতা দেওয়া হয়নি সরকারী সিদ্ধান্ত এবং পুর নিগমের নির্দেশ। নতুন ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ইয়ার্ডের টাকার অঙ্ক কমানো হবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। একটি সোসাইটি গঠন করা হয়েছে। যে দূরত্ব ছিল তা মিটে যাচ্ছে। এখন পুনরায় এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থাপনায় ব্যবসা করার। অন্যথায় আইন ভাঙ্গলে প্রশাসনিক ভাবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হবে। তাদের ক্ষতির বিষয় সরকার ও পুর নিগম বিবেচনা করবে বলে জানান মেয়র।