স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জানুয়ারি : অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলির কাছে রয়েছে বুলি। বিজেপি-র কাছে আছে দম। সরকার ভিশন ডকুমেন্টে যা বলেছে তার থেকে অনেক বেশী করেছে। আগামী ২০২৩ -র নির্বাচনের আগে সুবিধাভোগীদের দুই হাজার টাকা করে ভাতা নিশ্চিত প্রদান করবে সরকার। এবং বড় মাত্রায় দেওয়া হবে কর্মচারীদের ডিএ। শুক্রবার গোলাঘাটি মন্ডলের উদ্যোগে শ্যাম নগর পাড়ার গাংঠাকুর বাজারে আয়োজিত যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
দেশে একটিই দল আছে যারা মাটি, দেশ মাতৃকা, রাষ্ট্রহীত ও ধরত্রী মাতা এবং ভারতমাতার বিষয়ে বলে। ভারতবাসী হিসাবে ভারতবর্ষকে এক দিশায় নিয়ে যেতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। যে ভাবে কোভিডকে পরাজিত করে রাষ্ট্র বিরোধী তত্ত্ব গুলিকে পরাজিত করে যে ভাবে এগিয়ে চলেছে দেশ , সেই জায়গায় পিছিয়ে নেই গোলাঘাটি। এই গোলাঘাটির মানুষ প্রমানিত করেছে ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে পরিবর্তন এসেছিল তা এখনো বর্তমান রয়েছে বলেন জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন আই পি এফ টি, তিপ্রা মথা ও সি পিএম থেকে ২১০ পরিবারের ৭৭১ জন ভোটার বিজেপি দলে সামিল হয়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার রাবার চাসীরা এখন রাবারের সঠিক মূল্য পাচ্ছে।
নতুন করে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট স্মোক হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো সরকার রাবার চাষিদের শোষণ করে রাখত। ২ লক্ষ রাবার চাষিরদের জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে রাবার সিট বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিশাতে সরকার এগুচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান করা হচ্ছে সরকারী ভাবে। যার কারনে বাজারে ধানের দাম বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধির মাধ্যমে কৃষকদের একাউন্টে টাকা আসছে বলেও জানান তিনি। এর জন্য কোন ঘুষ ও চাদা দিতে হয়নি বলেও জানান তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টি যা বলে তা করে দেখায়। বাকী দল গুলি দিচ্ছি , দেব বলে বঞ্চনা চালিয়ে যায়। ত্রিপুরার উন্নয়ন আছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। অন্যদের কাছে বুলি আছে। বিজেপি-র কাছে আছে দম। ত্রিপুরা সেই দিশাতে চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদলের নেতাদের মধ্যে ঠিক নেই। একেক নেতা একেক কথা বলছে। দিশাহীন ভাবে চলছে। আগে ত্রিপুরায় রাজত্ব করা সহজ ছিল। এখন মোদী আছে। তাই এই কাজ সহজ নয়। আগে লাইন বারিয়ে, পার্টি অফিসে বিচার করে, নিজেদের পত্রিকা পড়িয়ে, কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলে ত্রিপুরার মানুষ ও জন জাতিদের সঙ্গে রাজনীতি করা হত। এখন বর্তমান সরকার রাজ্যের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সহ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।