স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ নভেম্বর : অনেক ঘাট প্রতিঘাটের মধ্যে দিয়ে স্যন্দন পত্রিকা দাঁড়িয়ে আছে। এই পত্রিকার যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো আগামী দিনে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত ১০ ম স্যন্দন শারদ সম্মানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে ক্লাব গুলির ছিল অস্ত্রের ঝংকার। এখন ক্লাবগুলি এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। ক্লাবের সংস্কৃতি পরিবর্তনের পেছনে স্যন্দন পত্রিকার এই ধরনের অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর আইন-শৃঙ্খলার বজায় রাখার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। রাজ্যের অনেক উন্নতিও হয়েছে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার জন্য সরকার কাজ করে চলেছে। ক্লাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ক্লাবগুলি যদি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে তাহলে এলাকাবাসী মনে আরও বেশি আস্থা জোগাতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী সদ্য সমাপ্ত দূর্গা পূজার প্রসঙ্গ বলেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। মানুষের চেহারার মধ্যে খুশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
জাতি জনজাতির সহাদ্যপূর্ন অবস্থা ছিল। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আরো বলেন, ক্লাবগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির এই ধরনের অনুষ্ঠান ক্লাবগুলিকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে। আগামী দিনে আরো ভালো করে দুর্গাপূজা আয়োজন করবে বলে আশা ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্লাবকে সেরা সেরা পূজা, মন্ডপ সজ্জা, মূর্তি সজ্জা, শান্তি সম্প্রীতি সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা পুরস্কার গুলি তুলে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির সম্পাদক সুবল কুমার দে বলেন, ক্লাবগুলি দায়িত্ব নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজার আয়োজন করেছে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী দিনেও ক্লাবগুলিকে আরো বেশি উৎসাহিত করা হবে। স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদ, মেয়র দীপক মজুমদার, প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস সহ অন্যান্যরা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন অচিন পাখি ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হয়।