স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : নেশা কারবারির বিরুদ্ধে আমতলী থানার পুলিশের নেই কোন কঠোর পদক্ষেপ। জামাই আদরে নেশার কারবারির বাড়িতে গিয়ে আবার নিমন্ত্রণ খাচ্ছে থানার বড়বাবু, মেজ বাবু সকলে। লক্ষী পূজার রাতেও এক মহিলাকে চারিপাড়া স্থিত পুলিশ পাড়ার প্রদীপ দাসের দুই ছেলে এক মহিলাকে মারধরের চেষ্টা করে। প্রতিবাদে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লোক দেখানো নাটক করে আসে।
অবশেষে রবিবার দুপুরে আমতলী থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ এলাকায় ড্রাগস মাফিয়া প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। প্রদীপ দাস বহিরাগত যুবকদের নিয়ে এলাকায় নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের বাড়িতে প্রবেশ করে নেশার আসর বসিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে। গত কয়েকদিন আগেও থানায় গিয়ে প্রদীপ দাসের শিষ্য কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং তারপরও দেখা যাচ্ছে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতেই নিমন্ত্রণ খায়।
আমজনতা যখন থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় পুনরায় অভিযোগ জানাতে যায় তখন পুলিশ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে সাধারণ মানুষকে। আরো অভিযোগ প্রদীপ দাস সেল্টার দিয়ে রাখছে কৃষ্ণ দাসকে। কৃষ্ণ দাস রেলস্টেশনের এলাকায় প্রদীপ দাসের একটি পরিত্যক্ত জমিতে নেশা সামগ্রীর জমরমা ব্যবসা করে চলেছে। অভিযুক্ত কৃষ্ণ দাসের বাড়ি চৌরঙ্গী পাড়া এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় এলাকাবাসী। রবিবার পুনরায় থানায় অভিযোগ জানায় স্থানীয়রা। এখন দেখার বিষয় পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ক্লাবে সভাপতি এবং সম্পাদকের অভিযোগ প্রদীপ দাস চারিপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান মেনকা দাসের ভাসুর। যার কারণে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ককে অবগত করা হয়েছিল। তিনি পুলিশকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেও পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। তবে এলাকাবাসীর বক্তব্য যদি পুলিশ অবিলম্বে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে। এদিকে অভিযোগ রাস্তাজুড়ে বাজী পোড়ানোর প্রতীবাদ করে আক্রান্ত হয় কৃষ্ণ গোপাল দাস। রবিবার অভিযুক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের তিনি। আক্রান্ত ব্যক্তি জানান শনিবার রাতে ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন লক্ষ্মীপুজার প্রসাদ খেতে। পুলিশ পাড়া এলাকায় কিছু যুবক রাস্তা জুড়ে বাজী ফাটানোয় বাইক নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন তিনি। বাস্তায় বাজী পোড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বলেন। অভিযোগ এরপরই শ্যামল সরকার ওরফে পাপ্পুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে তাকে মারধোর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাথায় আঘাত লাগে কৃষ্ণ গোপাল দাসের।