স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : লক্ষ্মী পূজা ও কালী পূজায় রাজ্য জুড়ে পোড়ানো হয় বিভিন্ন ধরনের বাজি। শহরের চিত্রটা ঠিক একই। যে কারনে এই সময়ে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যদিও প্রতিবছরই দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ থেকে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়। অথচ সেই নির্দেশিকা আদৌও কতটা কার্যকর হয় তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
এই বছরও দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ থেকে ফের একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অবৈধ বাজি না পোড়ানোর জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বাজি পোড়ানোর ফলে যে শব্দ দূষণ হয় তা নির্ণয় করার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের পক্ষ থেকে আগরতলা, উদয়পুর ও কুমারঘাটে মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে বাতাসের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তা পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের উদ্যোগে দিনভর শহরের বিভিন্ন স্থানে শব্দ দূষণ পরিমাপ করা হবে। এই দূষণের পরিমাপ পরবর্তী সময় সরকারকে অবগত করা হবে। এছাড়া প্রশাসনের সহায়তায় দুটি সার্ভিলেন্স টিম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। শনিবার দূষণ পরিমাপ যন্ত্র গুলি ঠিক ঠাক ভাবে কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা। বড়দোয়ালী বিপণীবিতান এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের কার্যালয়ে এই দুটি মেশিন বসানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের জে এস এ- ডা রাজীব পাল।