Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যপঞ্চাশ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাস রিজার্ভ করে পূজা পরিক্রমা এবং অর্থ বস্ত্র বিতরণ

পঞ্চাশ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাস রিজার্ভ করে পূজা পরিক্রমা এবং অর্থ বস্ত্র বিতরণ

বক্সনগর প্রতিনিধি,২৩ অক্টোবর।। বাঙ্গালীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা।এই পূজায় বাঙালি হিন্দু  নয়, সকল ধর্মাবলম্বী মানুষরাই শান্তির বার্তা নিয়ে পুজোয় মেতে উঠেন।কথায় আছে “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”।আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন বক্সনগর নবজাগরণ সংঘের সহযোগিতা নিয়ে এক অভিনব সামাজিক কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন।

যা শুধু বক্সনগর নয়,সারা ত্রিপুরা রাজ্যে বিরল ঘটনা।বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন ভেবেছিলেন আমরা সকলেই প্রতিবছর দুর্গা মায়ের আরাধনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি।পুজোর দিনগুলি আনন্দে মেতে উঠি। বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে খুশির আনন্দে ভেসে বেড়াই।কিন্তু গর্ভধারিণী মা যে বার্ধক্য জনিত কারণে ঘরে বসে থাকে তার কথা একটুও ভাবি নি।বার্ধক্য জনিত কারণে যেই বৃদ্ধ মা-বাবা ঘরে বসে থাকে, সন্তানরা পর্যন্ত অসুস্থ হওয়ার ভয়ে ঘর থেকে বের করার নি। অর্থাৎ তারা পূজা দেখা থেকে বিরত থাকেন।এই সমস্ত বৃদ্ধ মা বাবার কথা চিন্তা করে এক অভিনব কায়দায় অষ্টমীর দিনে বক্সনগর নবজাগরণ সংঘের সহযোগিতায় বিধায়কের উদ্যোগে নবজাগরণ ক্লাব প্রাঙ্গণে এক পূজা পরিক্রমা এবং অর্থবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করেন।

এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার, বক্সনগর মন্ডল সভাপতি সুভাষচন্দ্র সাহা, পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য সদস্যা এবং মধ্য বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ময়নাল হোসেন। এই মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নব জাগরণ সংঘের সভাপতি বিজয় সরকার।জানা যায় অষ্টমীর দিন বেলা দুই ঘটিকায় বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে একেবারে হতদরিদ্র প্রায় ৫০ জন বৃদ্ধ মা বাবাকে একটি বাস রিজার্ভ করে বক্সনগর এলাকার প্রায় ৫০টি পূজা পরিক্রমা করান।পূজা পরিক্রমা শেষে সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় নবজাগরণ ক্লাব প্রাঙ্গণে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামানো হয়। সেই অনুষ্ঠানস্থলে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদেরকে প্যাকেট করে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী প্রদান করা হয়। মিষ্টি বিতরণ করার পর ৫০ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে অনুষ্ঠানের অতিথিদের হাত ধরে একটি করে বস্ত্র এবং সঙ্গে ৫০০ টাকা প্রদান করেন।বিধায়কের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয় বললেন এলাকার শুভ বুদ্ধি মহল। তাছাড়া পূজা পরিক্রমা এবং অর্থ বস্ত্রকে অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধারা খুবই খুশি। দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আশীর্বাদ করলেন বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন কে।অনুষ্ঠান শেষে পুনরায় বাস গাড়ি দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে মুখে হাসি এবং হাত নাড়িয়ে বিধায়ক সহ অন্যান্য অতিথিদের বুঝালেন আমরা খুবই খুশি হয়েছি।কয়েকজন বৃদ্ধ সংবাদ কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমরা রাজ্যের সিপিএম কংগ্রেসের সরকার দেখেছি, বক্সনগর এলাকা থেকে সিপিএম কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী বিধায়ক হয়েছেন কিন্তু সমাজে আমাদের নিয়ে এই ধরনের উদ্যোগ কোনদিন দেখিনি।মনে হয় বিগত সিপিএম কংগ্রেস সরকারের বক্সনগরের নির্বাচিত বিধায়ক মন্ত্রীরা এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কোনদিন ভাবেওনি। তাই বর্তমান বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন কে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার এবং সামাজিক কাজকর্ম করে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য আশীর্বাদ করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য