স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : শনিবার রাজধানীর এ.ডি নগরস্থিত পুলিশ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ স্মৃতি দিবস। পুলিশ স্মৃতি দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে.কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পরে অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে সমগ্র দেশের মধ্যে অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। ত্রিপুরার ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এইটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র পুলিশের কারনে। মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্কিম হাতে নিয়েছে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এইবারের বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে। একটি কার স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে করে গাড়িতে করে নেশা সামগ্রী নিয়ে আসার সময় স্ক্যানারে ধরা পরে। প্রতিটি পুলিশ স্টেশনে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিডিও ডাটা বিশ্লেষণের জন্য ভিডিও ডাটা অ্যানালাইসিস সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা সেন্ডিকেট রাজের লাগাম টানার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সুবর্ণ ত্রিপুরা নির্মাণ যোজনায় গোমতী জেলার উদয়পুরে পুলিশ সুপারের অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। তার জন্য ১২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের বিভিন্ন স্তরে বহু শূন্যপদ রয়েছে। এই শূন্য পদ গুলি পূরণ করার জন্য বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হয়েছে আধিকারিকদের নিয়ে। নরসিংগড়স্থিত পুলিশ ট্রেনিং একাডেমী দেশের মধ্যে একটি অন্যতম। মনিপুর থেকে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এই পুলিশ ট্রেনিং একাডেমীতে তাদের পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। এইটা একটা গর্বের বিষয়। দ্রুততার সাথে সাইবার ব্রাঞ্চ পুলিশ স্টেশনের কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। সাধারন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সর্বদা কাজ করে পুলিশ। মানুষের সমস্যা নিরসনে ধ্যর্য ধরে পুলিশকে কাজ করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। সম্প্রতি একাধিক ফাঁড়ি থানাকে থানায় পরিণত করা হয়েছে। আমবাসায় মহিলা থানার উদ্বোধন করা হয়েছে। সড়ক সুরক্ষার জন্য হাইওয়ে পেট্রোলিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এইদিনে রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য ১৯৫৯ সালে লাদাখে পেট্রোলিং–র সময় চায়না সীমান্তে আক্রমণ চালানো হয়। সেই সময় বহু সি আর পি এফ জওয়ান শহীদ হয়। তারপর থেকে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৬০ সালের ২১ অক্টোবর থেকে পুলিশ স্মৃতি দিবস পালন করা হচ্ছে।