স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : স্বল্পমূল্যে যাতে মানুষ দশমীর দিন মাছ খেতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজ্যের ২৫ টি জায়গায় ফিস সেইল কাউন্টার খোলা হবে। তার জন্য মৎস্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেসব জায়গায় মাছ চাষ হয় সেখান থেকে দশমী উপলক্ষে মাছ সংগ্রহ করে স্বল্পমূল্যে ২৫ টি ফিশ সেইল কাউন্টারে বিক্রি করার জন্য। বুধবার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
তিনি বলেন, রাজ্যে মহকুমা গুলির মধ্যে যেখানেই সুপারইনডেন্ট ফিসারি কমপ্লেক্স রয়েছে সেখানে এই মাছ বিক্রি কেন্দ্র খোলা হবে। এই মাছ বিক্রি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তিন থেকে চার রকমের মাছ ৭ থেকে ৮ হাজার কেজি বিক্রি করা হবে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আরও জানান, গত ১১ অক্টোবর দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। সাক্ষাতে মূলত রাজ্যের মৎস্য উৎপাদন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে কীভাবে উদয়পুরে ফিসারী ট্রেনিং সেন্টারটি সংস্কার করে রিজিওনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন তৈরি করা যায়। এই রিজিওনের ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন গড়ে উঠলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য সুবিধা হবে।
এর জন্য ৫০ কোটি ৮ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সামনে রাখা হয়েছে। মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট উত্থাপন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মৎস্য মন্ত্রীকের মন্ত্রীর কাছে। পাশাপাশি রাজ্যের পরিত্যক্ত পুকুরগুলি যাতে ব্যবহারের যোগ্য করে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য ২৫ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আরও জানান কেন্দ্রের কাছে আরো একটি দাবি তোলা হয়েছে। সেটা হল ঊনকোটি জেলার হাওড়া বাজারে ইন্টিগেটেড একুয়া পার্ক তৈরি করার। যেখানে একটি পার্কের মতো তৈরি করা হবে। সেখানে মাছ চাষ, বিক্রি করা সহ মাছ সংরক্ষণের সুবিধা থাকবে। এতে করে ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে সহসাই এই প্রজেক্ট গুলির অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। মন্ত্রী জানান কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে আরও দাবি করা হয়েছে, আর কে নগর প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের যে ইনস্টিটিউটটি রয়েছে সেটা ঢেলে সাজাতে ৫৭ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আরও বলা হয়েছে যাতে দ্রুত রাজ্যে ভেটেনারি ইউনিভার্সিটি খোলার সুযোগ করে দেন। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক।