স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর : নিজের ভাগ্নেকে কুড়োল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অপরাধে মামার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।ঘটনাটি হয় ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় খোয়াই থানাধীন পূর্ব সোনাতলা পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকায় দুলাল তাঁতির বাড়ীতে। দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক কোন বিবাদ নিয়ে মামা দুলাল তাঁতির সাথে ভাগনে রাহুল তাঁতির রেষারেষির পরিণতিতেই এই ঘটনাটি ঘটে।
সেদিন বিকেলে পাড়ার কোন এক স্থানে দুলাল তাঁতি নাকি তার বোন শঙ্করী তাঁতি ও তার দুই ভাগ্নে রাহুল তাঁতি ও রাজেশ তাঁতিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। রাজেশ তাঁতি তখন সেখানে উপস্থিত ছিল। সে বাড়ীতে গিয়ে তার মা ও দাদাকে মামার গালিগালাজের বিষয়টি জানায়। রাজেশের দাদা রাহুল তাঁতি সন্ধ্যার সময় গালিগালাজের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে তার মামা দুলাল তাঁতির বাড়ীতে যায়।সেখানে মামা ও ভাগ্নের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়।পরিস্থিতি একসময় উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দুলাল তার মেয়ের সাথে রাহুলের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ আনলে বিবাদ তুঙ্গে উঠে। শুরু হয় হাতাহাতি। তখনই মামা দুলাল তাঁতি তার ভাগ্নে রাহুল তাঁতির ঘাড়ে কুড়োল দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয়। এতে মারাত্মক আহত হয় রাহূল তাঁতি। রক্তাক্ত রাহুল তাঁতিকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত রাহুলের মা শঙ্করী তাঁতি তার ভাই দুলাল তাঁতির বিরুদ্ধে রাহুল তাঁতিকে খুনের অভিযোগ আনলে পুলিশ একটি মামলা লিপিবদ্ধ করে। আদালতে সরকারপক্ষে মোট এগারোজন সাক্ষ্য দেন। আদালতে ভাগ্নে খুনের মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হয় মামা দুলাল তাঁতি। সোমবার খোয়াইয়ে অতিরিক্ত জেলা বিচারক রাজীব ভট্যাচার্য্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দুলাল তাঁতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাথে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাবাস বলে জানান আইনজীবী।