স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ অক্টোবর : মহালয়ার শুভ পুণ্যলগ্নে আজ স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরা (এস.ই.এ.টি)-এর উদ্যোগে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলঘরে আয়োজিত একটি মহতী সেবামূলক বস্ত্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে ৩০০ জন দুস্থ মহিলাদের মধ্যে নতুন বস্ত্র প্রদান সহ তাঁদের মহালয়া ও আসন্ন দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের হাতে জল-মিষ্টি তোলে দেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এই বস্ত্রদান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, পূজার আনন্দে যাতে সকলে শামিল হতে পারেন, বিশেষ করে গরীব- দুঃস্থ মানুষ যাতে সুন্দর ভাবে পূজো উপভোগ করতে পারেন, তার জন্যই আজ স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরা’র এই মহতী উদ্যোগে শামিল হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। তিনি সীট এর এই মহতী সমাজ সেবামূলক উদ্যোগকে একটি ইতিবাচক এবং মানবতার সেবায় নিবেদিত একটি মহৎ উদ্যোগ বলে উল্লেখ করে সংগঠনের ভূয়সী প্রশংসা করে সীট এর এই কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করে অন্যান্যদেরকেও এধরণের উদ্যোগ নিয়ে দরিদ্র-প্রবীণদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান ।
নিকট ভবিষ্যতে স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরা’র সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের আরও ব্যাপ্তি ও প্রসার ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, সীট এর সকল সম্মানিত সদস্য-সদস্যরা অনেক কষ্ট করে যে অর্থ উপার্জন করেন তার কিছু অংশ সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণ সাধনে ব্যায় করছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।আগামী দিনেও সিট এর সকল সদস্যরা সম্মিলিত উদ্যোগে এমন সমাজসেবামূলক কাজে ব্রতী থাকবেন বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন। তিনি সীট এর সকল পদাধিকারী/কর্মকর্তা সহ সংগঠনের সকল সদস্য- সদস্যাদের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর পাশাপাশি সংগঠনের আরো উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার কামনা করেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, পার্থ সারথী সাহা, রাণীরবাজার পৌর পরিষদের কাউন্সিলার শংকর সাহা, স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরার সহ-সভাপতি সুবীর দাস, যুগ্ম সচিব ( অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ), সত্য নারায়ণ সরকার, সংগঠনের বরিষ্ঠ সদস্য প্রদীপ দাস সহ স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরার এক্সিকিউটিভ কমিটি/জিরানীয়া কমপ্লেক্স কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ।