Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যউপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ বললেন মানিক সরকার

উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ বললেন মানিক সরকার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ অক্টোবর : ২০১৮ সালের পর পরিস্থিতির সঙ্গে ২০২৩ সালের পরের পরিস্থিতির মিল রয়েছে বলে ভাবলে ভুল করা হবে। গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। তাই ভুল খামতি মূল্যায়ন করে এগিয়ে যেতে হবে। যারা দলের জন্য শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারের লোকজনেরা এখনো বামফ্রন্টে রয়েছে। তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের এলাকার নেতৃত্বের স্থানে বসিয়ে পরিমণ্ডল গড়ে তুলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার শপথ নিতে হবে। তাহলেই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা হবে। না হলে বছরে একদিন মাল্যদান করে প্রকৃত শ্রদ্ধা হয় না।

বৃহস্পতিবার ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনে বীরচন্দ্র মনু শহিদান হলসভায় দলের নেতৃত্বেদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে এই কথা বললেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, যারা দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটিতে নেতৃত্বের স্থানে রয়েছেন তাদের আগে এগিয়ে আসতে হবে। তারাই দলের সমর্থকদের পথ দেখাবে। এর জন্য আক্রমণের স্বীকারও হতে পারেন। কিন্তু মানুষকে সাথে নিয়ে এক প্রতিরোধ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এটাই শপথ নেওয়ার বিষয় বলে জানান। তিনি বলেন ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর বিজেপির পেছন থেকে গোপনে সহযোগিতা করেছে উপজাতি একটি সংগঠন। আর এখন তারা গোটা দেশের মতো রাজ্য মানুষের উপর সামগ্রিকভাবে আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। এর জন্য এর থেকে বের হয়ে আসতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এগোতে হবে।

এবং মানুষের কাছে যেতে হবে। না হলে আগামী দিন অসুবিধায় পড়তে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচন বিগত দিনের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেওয়ায় এখন লজ্জিত শাসক দল। ভোট লুট করে তারা ইতিহাসে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী! তিনি বক্সনগর গিয়ে বুক চাপড়াচ্ছেন। কিন্তু এই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মিথ্যা ভোটে নিজের আসন ধরে রেখেছেন। শান্তিবাজার, মোহনপুর এবং রানীরবাজার থেকে যুবকদের নিয়ে এসে মিথ্যা ভোটে নিজে জয়ী হয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আসাটাই কালিমালিপ্ত। সরকারের ভূমিকার ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব হবে সেটা ভাবলে মানুষের বিস্মিত হবার কোন কারণ নেই। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য। অপরদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম দলের নেতা বাদল চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন, বীরচন্দ্র মনুতে শহীদের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল গোটা রাজ্যে।

এটা তৎকালীন সময়ে সমাজ পরিবর্তনের লড়াই ছিল। তারপর মানুষের সমর্থন নিয়ে বিলোনিয়াতে বামফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় থেকে বামফ্রন্টের লড়াই আজও চলছে। কারণ গণতন্ত্র বিপন্ন। মানুষের কাছে যাতে বামফ্রন্ট না যেতে পারে তার জন্য চারিদিকে চলছে বাধা-বিপত্তি। কিন্তু তারপরও বিলোনিয়ার মানুষ আজও লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে রয়েছে বলে জানান বাদল চৌধুরী। আয়োজিত হলসভায় এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য