আগরতলা, ১২ অক্টোবর: ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আপামর জনসাধারণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকারও। মানুষের সমস্যা নিরসনের জন্য কাজ করতে হবে দলের কার্যকর্তাদেরও। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে তাদের। ভারতীয় জনতা পার্টি যে মানুষের পাশে রয়েছে সেটা কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ দিতে হবে। এভাবেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার গোমতী জেলার উদয়পুরে ভারতীয় জনতা পার্টির পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বারদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন কর্মশালায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যাদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সামনেই আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গুনে গুনে কয়েক মাস বাদেই সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে নিজেদের মতাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। পূর্ব ত্রিপুরা ও পশ্চিম ত্রিপুরা এই দুটি আসনেই বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদগণ রয়েছেন। কিন্তু এই দুটি আসনে গত ২০১৯ লোকসভা ভোটের চাইতেও এবার আরো অধিক ভোটে জয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রদেশ বিজেপি। মূলত, সেই লক্ষ্য নিয়েই লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ও প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দুজনেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে কয়েক দফায় সংগঠনিক সভা ও বৈঠক সেরে নিয়েছেন। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের একবার গোমতী জেলায় দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যাদের নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর এই আলোচনার নির্যাস থাকছে – কিভাবে আরো মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। তাদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় এবং তাদের সমর্থন আদায় করা যায়। বিশেষ করে পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার হওয়ার সুবাদে তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গেই তাদের মেলামেশার অন্যতম সুযোগ রয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়ার অবাধ সুবিধা রয়েছে তাদের। এই বিষয়টি কিভাবে আরো গতিশীল করা যায় সেনিয়ে গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য মানুষের বিপদে পাশে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় এদিন উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, অর্থমন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, প্রাক্তন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, দলের প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী সহ দলের গোমতী জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব।