স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : বাজারে মাছের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব দপ্তরের নেই। বৃহস্পতিবার গোর্খাবস্তি স্থিত মৎস্য দপ্তরের কার্যালয়ে আধিকারিদের নিয়ে রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনামূলক বৈঠকে আলোচনায় এই কথা বলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি বলেন, বিগত পর্যালোচনামূলক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্যের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার বিষয় সহ কিভাবে রাজ্যের মানুষের মাছের চাহিদা মেটানোর বিষয়ে। এর জন্য তিন মাসের নির্ধারিত সময় হাতে নেওয়া হয়েছিল।
আজ পর্যালোচনা মূলক বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয় কতটা মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিন কি ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় সে বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে এদিনের বৈঠকে। এ পেছনে মূল কারণ হলো রাজ্যের ৯০ শতাংশ মানুষ মাছের উপর নির্ভরশীল। আর এটা তুলনা অনুযায়ী উৎপাদন অনেকটাই কম। এবং আগামী দিন দপ্তর কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সামনে যেহেতু শারদ উৎসব তখন মাছের দামটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং মানুষকে স্বল্প মূল্যে মাছ প্রদান করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে এদিন মৎস্য মন্ত্রী বলেন বাজারে মাছের অস্বাভাবিক মূল্য হওয়ার পেছনে দপ্তরের কোন হাত নেই।
কারণ বহিঃরাজ্য থেকে বিক্রেতারা কি মূল্যে মাছ ক্রয় করছে তা জানা নেই। তারপরও দপ্তরের কর্মীদের দিয়ে বাজারগুলিতে মাছের দাম এত বেশি কেন সে বিষয়টা খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি ফর্মালিন যুক্ত মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাও অভিযান চালিয়ে দেখা হয়। কিন্তু বাজারে মাছের অস্বাভাবিক মূল্য গত কয়েক মাস ধরেই ঠাঁই হয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন নজরদারি নেই। ৫০০ টাকা কেজি থেকে শুরু হচ্ছে মাছের মূল্য। এবং আসন্ন পূজার মরশুমে মূল্য আরো বেশি লাফিয়ে বাড়ায় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাজার গুলিতে। বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ মাছ ক্রয় করার সাধ্যটুকু হারিয়ে ফেলেছে। এর জন্য দায়ী একমাত্র প্রশাসন। মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে হতাশাগ্রস্থ করলেও সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বহিঃরাজ্য থেকে কি মূল্যে মাছ ক্রয় করে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কাটছে সেটা দেখার দায়িত্ব দপ্তরের। আর মাছের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে যদি দপ্তর এবং মন্ত্রী হাত ধুয়ে ফেলেন তাহলে বিশেষ দিনে একদিনের জন্য বাজারে স্বল্পমূল্যের মাছের কাউন্টার খুলে কিছুই হবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার দায়িত্ব দপ্তরেই। না হলে দপ্তর কোন দিনের জন্য প্রশ্ন থাকছে সাধারণ মানুষের। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।