স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : কি দিন, কি রাত – শহর এবার নেশা কারবারিদের কবলে। যখন তখন শহরে নাম্বার বিহীন বাইক, স্কুটি ব্যবহার করে চলছে নেশা কারবারীদের দৌড়ঝাঁপ। সিসি ক্যামেরা এবং কাতারে কাতারে পুলিশ ও ট্রাফিক কর্মী শহরের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও নেশা কারবারীদের জালে তোলার কোন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না তারা।
ফলে এবার নেশা কারবারি বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে শহরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে। বুধবার রাজধানীর রাধানগর সংলগ্ন এলাকায় এক যুবক ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তের সৃষ্টি করেছিল। পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে তদন্তে নেমে দেখে অভিযোগ কারী শফিকুল ইসলামের তোলা ছিনতাই -এর ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। এদিন শফিকুল ইসলাম, অরুপ ত্রিপুরা এবং শুকলাল ঋষি দাসের কাছ থেকে ডাগস ক্রয় করা নিয়ে ঝামেলা বাধে। তারপর সে অরূপ ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে।
সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরূপ ত্রিপুরা, শুকলাল ঋষি দাস এবং শফিকুল ইসলামকে রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান এবং লেইক চৌমুহনি বাজার থেকে আটক করে। তারপর পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে বুধবার শফিকুল ইসলাম ড্রাগস বিক্রেতা অরূপ ত্রিপুরার কাছ থেকে পাঁচ কৌটা ড্রাগস ক্রয় করে। তারপর দরকষাকষি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা বাদে। পরে একটা সময় তারা তিন জনের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। শেষ পর্যন্ত শফিকুল মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে উত্থাপন করেছে। তারপর শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বাকি অরূপ এবং শুকলাল দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোট ১৫ কৌটা ড্রাগস উদ্ধার করা হয়। এবং ৬০০০ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযুক্তি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ৬০০০ টাকা শফিকুলের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হাতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যেহেতু শহরের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হল ভিআইপি রোড। আর স্থানে এ ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।