স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ অক্টোবর : স্যন্দন পত্রিকার খবরের পর রাস্তায় নামলো আগরতলা পুর নিগম কর্তৃপক্ষ। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চারদিকে চলছে সাজো সাজো রব। পুজো উদ্যোক্তাদের বাড়ছে ব্যস্ততা। দিন রাত এক করে রাস্তার পাশে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পুজো মণ্ডপ। কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্লাবের পূজা মন্ডপ বেআইনিভাবে রাস্তার মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে।
পথচারীদের কথা একবারও ভাবছে না পুজো উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে স্যন্দন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর শুরু হয়েছে নিগমের উপর মহল থেকে শুরু করে নিচু মহল সমস্ত কর্মীদের দৌঁড় ঝাপ। ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তায় আলোকসজ্জায় প্যান্ডেল তৈরি করার পরিকল্পনাও নিয়েছিল সে সব পূজোর উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে যায় আগরতলা পুর নিগমের আধিকারিক একটি প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। প্যান্ডেলে অনিয়ম প্রত্যক্ষ করে রামঠাকুর সংঘ ক্লাব এবং ব্লাড মাউথ ক্লাবের। দুটি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে বলা হয় আইন মেনে যাতে পুজো মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জার প্যান্ডেল গড়ে তোলা হয়।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে বা রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করবে এমন প্যান্ডেল যাতে তৈরি না করা হয়। এবং সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে গড়ে তোলা প্যান্ডেল খুলে নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে সময় বেঁধে নেওয়া দেন নিগমের আধিকারিক। তারপর পুজো কমিটির পক্ষ থেকে আলোকসজ্জার জন্য বেআইনিভাবে যে প্যান্ডেলের তৈরি করা হয়েছিল সেগুলি খুলে নেওয়া হয়।এদিকে লক্ষ্য করা গেছে রবিবার মুক্তধারায় আগরতলা শহরের ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিয়ে যে বৈঠকে আয়োজন হয়েছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন কুমারঘাটের রথ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়। দর্শনার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এমনভাবে মন্ডপ তৈরি না করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেন। কারণ সার্বজনীন দুর্গাপূজা যাতে সকলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে এবং আনন্দে কাটে সেটাই মূল উদ্দেশ্য।