স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ অক্টোবর : ঘরে মৃত মা। তিন দিন ধরে ঘরের ঘরের দরজা বন্ধ করে মায়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছে বিকৃত মস্তিষ্কের ছেলে । পাশে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না মৃতঃ মায়ের কাছে । অবশেষে দরজা ভেঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন সহ অন্যান্য ভাইয়েররা। রবিবার রাতে এমনই দৃশ্য দেখা গেল বিলোনিয়ার রবীন্দ্র পল্লী এলাকায়। এই স্মৃতি উস্কে দিল বহিঃরাজ্যের একাধিক ঘটনার।
কিভাবে, কখন, কেন মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধার তা নিয়ে রহস্যের দানা বাঁধছে। মৃতার নাম নীতু বালা সাহা। বয়স পঁচাশি বছর। চার ভাই, এক বোন। মানসিকভারসাম্যহীন ছেলের সাথে থাকতো বৃদ্ধা নীতু বালা সাহা । কিন্তু মাঝে তাঁকে আর দেখা যায়নি। এরপর এলাকা জুড়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই খোঁজাখুঁজি করার পর, দুর্গন্ধের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এই মৃতদেহের খোঁজ পায় সকলে। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে উদ্ধারকারীদের উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। মায়ের মৃতদেহ তিনি নিতে দেবেন না বলে জানিয়েদেন। লাঠি হাতে আক্রমণ চালায় উন্মাদ ছেলে। মৃতার অপর ছেলে জানান ঘড় থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর ঘড়ে উঁকি দিতেই মায়ের পচাগলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। জানালা ভেঙ্গে ঘড়ে প্রবেশ করতে গেলে উন্মাদ ভাই আক্রমণ চালায়। পরে কোন ক্রমে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে এই দৃশ্য দেখতে পান তারা। মৃতদেহ উদ্ধারের পর মানসিকভারসাম্যহীন ছেলেকে বেঁধে রাখা হয়। এদিক খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া মহিলা থানাতে । মহিলা থানার পুলিশ ছুটে যায় রবীন্দ্র পল্লী এলাকায়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে। বর্তমানে মর্গে রয়েছে বৃদ্ধার মৃতদেহ। অনুমান করা হচ্ছে তিন দিন আগে মৃত্যু হয় এই বৃদ্ধার। তবে কি ভাবে, কবে নাগাদ মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার সেই বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিলোনিয়া শহর জুড়ে । এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।