Saturday, September 21, 2024
বাড়িরাজ্যবাণিজ্য নগরী মুম্বাই -র সঙ্গে রেল পরিষেবায় সংযোজন

বাণিজ্য নগরী মুম্বাই -র সঙ্গে রেল পরিষেবায় সংযোজন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ সেপ্টেম্বর : বাণিজ্য নগরী মুম্বাই -র সঙ্গে রেল পরিষেবায় সংযোজন হতে চলেছে ত্রিপুরা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে অবগত করেছে। ফলে বাণিজ্য নগরীর সঙ্গে জুড়ে যাবে ত্রিপুরা। এবং ত্রিপুরার সাথে বাণিজ্য নগরীর সংযোজনের ফলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে।

কারণ প্রধানমন্ত্রীর হীরা মডেল প্রতিশ্রুতি অন্যতম অঙ্গ হিসেবে আরো একটি এক্সপ্রেস ট্রেন পাবে রাজ্য। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানান পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী জানান, আসন্ন দুর্গাপুজার আগেই লোকমান্য তিলক-কামাক্ষা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগরতলা থেকে মুম্বাই পর্যন্ত চলাচল করবে। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় আগরতলা থেকে রওনা দেবে ও মুম্বাইয়ের লোকমান্য তিলক স্টেশনে পৌছাবে শনিবার বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিটে। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিই আবার মুম্বাই থেকে রবিবার সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে রওনা হয়ে এবং আগরতলায় এসে পৌঁছাবে মঙ্গলবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে। যাত্রাপথে সময় লাগবে ২ দিন ৭ ঘন্টা। পরিবহন মন্ত্রী জানান, এই যাত্রাপথে এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগরতলা এবং গৌহাটির মধ্যে মোট ৭টি স্টেশনে থামবে। এই ৭টি স্টেশন হল আমবাসা, ধর্মনগর, বদরপুর, নিউ হাফলং, লামডিং, হোজাই ও চপারমুখ।

 পরিবহণ মন্ত্রী আরও বলেন, এই রেল পরিষেবা চালু হলে চাকুরি প্রার্থী, রোগী, শিক্ষার্থী, পর্যটক, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষ লাভবান হবেন। আগরতলা-মুম্বাই রেল পরিষেবা চালুর উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহনমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে হীরা মডেল দেওয়ার ঘোষনা করেছিলেন। এই হীরা মডেলের উপর দাঁড়িয়েই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। রাজ্য সরকারও উন্নত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলেই বর্তমানে রাজ্য থেকে ১১টি এক্সপ্রেস ট্রেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে চলাচল করছে। এছাড়াও পাঁচটি লোকাল ট্রেন রাজ্যে চালু রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহনমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৫০৮টি রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় এনে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৯১টি রেল স্টেশন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। যার জন্য বায় হবে ৫,১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের তিনটি রেল স্টেশনও অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এগুলি হল ধর্মনগর, কুমারঘাট এবং উদয়পুর রেল স্টেশন। এই তিনটি স্টেশনের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে ৯৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহনমন্ত্রী জানান, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হবে। আগরতলার রেল স্টেশনে আধুনিক চলমান শিড়ির উদ্বোধন করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন সচিব ইউ কে চাকমা, অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য