স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ সেপ্টেম্বর : যত দ্রুত সম্ভব সুবিধাভোগীদের মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্পের কার্ড ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আধিকারিকরা কাজ শুরু করেছে। রাজ্যে হমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের চিন্তা ভাবনা রয়েছে সরকারের। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার ৫ বছর পূর্তি এবং আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন-এর দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে সমগ্র বিশ্বে চর্চা হয়। প্রধানমন্ত্রী কোন প্রকল্প লাগু করার পর সময়ে সময়ে সেই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করা হয়েছে আয়ুষ্মান ভব কর্মসূচি। ২ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। আয়ুষ্মান আপনার ঘরের দরজায়, আয়ুষ্মান মেলা ও আয়ুষ্মান সভা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে ডেন্টাল কলেজ শুরু হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়েছে।
আইজিএম হাসপাতালে নার্সিং কলেজ চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সম্প্রতি কি কি কাজ করা হয়েছে তারও খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জিবি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমানোর জন্য জেলা হাসপাতাল গুলিতে পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা চলছে। বহিঃরাজ্য থেকে বিনিয়োগকারিরা রাজ্যে আসছে। তারা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায়। যে কোন জায়গার উন্নয়নের জন্য প্রথমে প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যকে হীরা মডেল দিয়েছেন। অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির ফলে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ফলে বহিঃরাজ্য থেকে বিনিয়োগকারিরা রাজ্যে আসতে চাইছে। রাজ্যে হ্যোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে রাজ্য সরকার চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব দেবাশিষ বসু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা ডিকে চাকমা সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে সম্মাননা জানানো হয়।