স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারী ঈশ্বরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মুখ্য সঞ্চালিকা কবিতা বেহেনজি প্রয়াত হয়। শুক্রবার শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর ভক্তরা। প্রয়াত মুখ্য সঞ্চালিকা প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে ভক্তরা বলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে উনার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এত তাড়াতাড়ি তিনি প্রয়াত হবেন সেটা জানা ছিল না বলে জানান। জানা যায় ১৯৯৫ সালে সঞ্চালিকা কবিতা প্রথম আগরতলায় এসে ঈশ্বরী সেবা শুরু করেন। তারপর ধীরে ধীরে ১৬ টি সেন্টার খোলা হয়। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি সেন্টার খোলা হয়েছে। উনার প্রয়াণে ভক্তরা অত্যন্ত ব্যথিত। এদিকে মুখ্য সঞ্চালিকা কবিতা বেহেনজির প্রয়াণের খবর পেয়ে আড়ালিয়া স্থিত প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারি ঈশ্বরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টারে যান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
তিনি প্রয়াত কবিতা বেহেনজির মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান তাদের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ হলেই আসতেন। মুখ্য সঞ্চালিকা কবিতা বেহেনজির প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের উদ্দেস্যেই ছিলেন নিবেদিত প্রান। অন্যদিকে মুখ্য সঞ্চালিকা কবিতা বেহেনজির প্রয়াণের খবর পেয়ে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও স্ত্রী পাঞ্চালী ভট্টাচার্য। দজনেই মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ত্রিপুরার জন্যে অনেক কিছু করে গেছেন। ত্রিপুরার ভাল দিক গুলি নিঃসংকোচে সকলের সামনে তুলেও ধরতেন। সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। নেশার বিরুদ্ধে ১৫ বছর যাবত ব্যাপক উদ্যোগ ছিল তাঁর। মুখ্য সঞ্চালিকা কবিতা বেহেনজির প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করে বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।