স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ সেপ্টেম্বর : ট্রাফিক কনস্টেবলকে স্যার বলে সম্বোধন না করায় রক্তচক্ষু দেখতে হলো এক চিত্র সাংবাদিককে। এমনকি দুর্ব্যবহার করা হয় চিত্র সাংবাদিক বাপন দাসের সঙ্গে বলে অভিযোগ। গুণধর এই ট্রাফিক কনস্টেবলের নাম লিটন দাস। ঘটনা লক্ষীনারায়ণ বাড়ি রোড স্থিত পার্কিং জোন এলাকায়। জানা যায়, বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি সংলগ্ন পথ ধরে নিজের পেশাগত কাজ সেরে আসছিলেন চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস। পার্কিং জোন সংলগ্ন রাস্তায় আসতেই বাপন দাসের মোবাইলে ফোন আসে। চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস তখন তার স্কুটি টি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ফোন কল রিসিভ করে।
এমন অবস্থায় ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা সুকুমার দেববর্মা মোবাইল বের করে বাপন দাসের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে। চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস ট্রাফিক কর্মী সুকুমার দেববর্মাকে তার ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই শুরু হয়ে যায় ট্রাফিক বাবুদের দাদাগিরি। ট্রাফিক কর্মী সুকুমার দেববর্মা ডেকে আনে ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন দাসকে। ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন দাস ঘটনাস্থলে ছুটে এসে চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস কে এমন ভাবে ডাকাডাকি করতে শুরু করে যা দেখে মনে হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ন বাড়ি সংলগ্ন এলাকার কোন মস্তান এসেছে এখানে মস্তানি করতে। চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস যখন তার ক্যামেরা অন করে ঘটনাটি ভিডিও করছিল তখন ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন দাসকে বলতে শোনা গেছে নেমপ্লেট খুলে দিলে নাকি ছবিটা ভালো উঠবে। চিত্র সাংবাদিক বাপন দাস কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন দাসকে স্যার বলে সম্বোধন না করায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন লিটন দাস ষাড়।
ভাবখানা এমন ছিল মাথায় সিং থাকলে এখনই গুতো দিয়ে দিতেন। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ট্রাফিক দপ্তরের পদাধিকারী। পদস্ত আধিকারিক এর হস্তক্ষেপেই বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটে। কথায় আছে দুর্বলের উপর নাকি সবলেরই প্রভাব বেশি। হয়তো চিত্র সাংবাদিক বাপন দাসকে দুর্বল ভেবেই কিছু সময়ের জন্য বাহুবলী হওয়ার চেষ্টা করেছিল ট্রাফিক কনস্টেবল লিটন দাস। দিন কয়েক আগেই লক্ষীনারায়ন বাড়ির রোড স্থিত এই জায়গাতেই রামনগর এলাকার এক ছিঁচকে সমাজদ্রোহী সূরা পান করে আগ্যুম বাক্যুম বক ছিল। কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীরা তখন তাকিয়ে তাকিয়ে তামাশা দেখছিল। যা পথ চলতি সাধারণ মানুষের মধ্যে হাসির খোরাক তৈরি করেছিল। কিছুদিন আগে চিত্র সাংবাদিক মনীষ আচারের সঙ্গেও কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মী দুর ব্যবহার করেছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে পশ্চিম জেলার ট্রাফিক সুপার মানিক দাস অবগত। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। আসলে ট্রাফিক কর্মী রূপ ধারী কয়েকজন শাড় বলদের কারণেই কলঙ্কে কালিমা লিপ্ত হচ্ছে গোটা ট্রাফিক ইউনিট। এমনটাই দাবি করছে রাজ্যের তথ্য ভিজ্ঞ মহল।