স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ সেপ্টেম্বর : প্রধানের বিরুদ্ধে জমির জবর দখলের অভিযোগ উঠার পর পাল্টা মামলা করতে প্রধানের পরিবার শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ ছিল আমতলী থানাধীন চারিপাড়া স্থিত পুলিশ পাড়া এলাকার প্রধান মেনকা দাস এবং তার পরিবারের বাকি সদস্যরা পাশের বাড়ির কৃষ্ণ দত্তকে ভিটে মাটি জবরদখল করার চেষ্টা করছে।
থানায় বহুবার যাওয়ার পরেও আমতলী থানার মহিলা পুলিশ অফিসার মামলা নেয় নি। অবশেষে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত প্রদীপ দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তারপর অভিযুক্তদের নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এসে মঙ্গলবার রাতে আমতলী থানা ঘেরাও করা হয়। অভিযোগ তুলে কৃষ্ণ পালের ভিটে মাটি খাস জায়গায় রয়েছে। গত শনিবার প্রধানের বাড়ির সীমানায় বিদ্যুতিক আর্থিং বসানোর সময় কৃষ্ণ দত্তের সাথে ঝামেলা বাদে প্রধানের পরিবারের। তারপর কৃষ্ণ দত্ত এবং এবং তার ছেলে কৌশিক দত্ত নাকি প্রদীপ দাসকে দা দিয়ে কূপ দিতে যায়। তখন পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন এসে ঝামেলার নিষ্পত্তি করে। যদিও কৃষ্ণ পালের পরিবার প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ জানায়। পুলিশ প্রদীপ দাসকে থানায় নিয়ে আসতেই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে থানা জড়ো করে প্রধান এবং প্রদীপ দাসের ভক্তরা।
এবং এই ভক্তরা অভিযোগ তুলে বিজেপিকে দুর্নাম করতে নাকি এ ধরনের প্রচেষ্টা করছে এলাকার ত্রিনয়নী ক্লাবের সম্পাদক সুবল বিশ্বাস। এবং তার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রদীপ দত্ত ও সুখেন বিশ্বাসও। সুতরাং পাল্টা মামলা করতে আসা তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে লড়াইটা হয়তো এলাকার শাসক দলে প্রধান বনাম ক্লাবের মধ্যে। যার কারণে পুলিশের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হাত কাঁপছে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। কারণ কৃষ্ণ দত্তের অভিযোগ ছিল তাকে রাতের বেলা বাইক দিয়ে প্রধানের পরিবারের লোকজন ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে। এবং কৃষ্ণ দত্তের স্ত্রীকে মারধর করে কান্না আসে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তারপরে পাল্টা মামলায় গেল প্রধানের অনুগামীরা।